টানা তিন বছর এক জায়গায় বসে কার অপেক্ষায়?

টানা তিন বছর এক জায়গায় বসে, কার অপেক্ষায়! রাতে একে ছাড়া ঘুমাতেই পারেন না দীনেশ কার্তিক, ফাঁস করা খবরে তোলপাড় নেট দুনিয়া।

তবে ফু শি-র কাহিনির শেষটা কিন্তু বিয়োগান্তক নয়। একটি পরিবার মিডিয়ার দৌলতে ছড়িয়ে পড়া ফু শি-র খবরে মর্মাহত হন। তাঁরা তাঁদের বাড়িতে নিয়ে এসেছেন ফু শি-কে। এখন নতুন মালিক-মালকিনের সঙ্গে দিব্যি আছে ফু শি।

এখন অবশ্য তার নাম ফু শি নয়। সে নতুন নাম পেয়েছে— স্কাই। রোজই রাস্তার ধারে বসে থাকে কুকুরটি। এক ভাবে, এক ঠায় যেন কারও প্রতীক্ষায়। তার এই বসে থাকার ছবি ইন্টারনেটে ভাইরাল হয়ে গেছে। দক্ষিণ কোরিয়ার ফুশি নামের এই কুকুরটিকে সারা পৃথিবীর মানুষই চিনে ফেলেছে। কিন্তু কেন সে বসে থাকে এমন ভাবে? সে কাহিনি সত্যিই খুব দুঃখের।

দক্ষিণ কোরিয়ার বুশানের বাসিন্দা এক বৃদ্ধা ফু শি-কে নিজের কাছে রেখেছিলেন বেশ কয়েক বছর। বেশ সুখেই দিন কাটছিল ফু শি ও তার মালকিনের। কিন্তু তিন বছর আগে মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ হওয়ায় অসুস্থ হয়ে পড়েন বৃদ্ধা।

তাঁকে নার্সিং হোমে ভর্তি করা হয়। এদিকে ফাঁকা বাড়িতে তাঁর অপেক্ষায় দিন কাটতে থাকে ফু শি-র। এর পরে নার্সিং হোমে মারা যান ওই বৃদ্ধা। সেই থেকে বেচারি পোষ্য অপেক্ষায় থাকে তার মালকিনের। সে বেচারি তো জানে না, তার মালকিন আর ফিরবেন না।

রোজ সকালে নিয়ম করে রাস্তার ধারে একটি নির্দিষ্ট স্থানে ফু শি-র অপেক্ষার দৃশ্য চোখে পড়ে প্রতিবেশীদের। তাঁরাই নিজেদের খাবারের উচ্ছিষ্ট খেতে দিতেন ফু শিকে। কিন্তু যতদিন যাচ্ছিল তাঁরা দেখতে পাচ্ছিলেন, ক্রমশ ভেঙে পড়ছে ফু শি। খাওয়া-দাওয়াতে তার আর আগ্রহ নেই। শেষ পর্যন্ত পশু চিকিৎসকদের খবর দেন প্রতিবেশীরা। চিকিৎসা শুরু হয় ফু শি-র।

ফু শি-র ঘটনা অনেককে মনে করিয়ে দেবে হাচিকোর কথা। যাকে নিয়ে অসাধারণ এক সিনেমাও হয়ে গেছে। সেও তার মালিকের জন্য অপেক্ষায় ছিল দীর্ঘ ৯ বছর। অবশেষে মৃত্যুর পরে তার অপেক্ষার শেষ হয়।-এবেলা