টেস্ট দলে না থাকা নিয়ে আক্ষেপ নেই নাফীসের
২০০৬ সালে ফতুল্লায় অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে শাহরিয়ার নাফীসের সেই সেঞ্চুরি এখনও চোখে ভাসে! অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্টে এখন পর্যন্ত কোন বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের এটিই একমাত্র সেঞ্চুরি। সেই সিরিজে শুধু শতকই নয় দ্বিতীয় ম্যাচে ছিল একটি অর্ধশতকসহ (৭৯) দুই টেস্টে রান করেছিলেন ২৫০। কিন্তু ২০১৩ সালে হঠাৎই ছিটকে পড়েন দলের বাইরে এই হার্ড হিটার ওপেনার। তারপর ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত দাপট দেখিয়েও আর মন কাড়তে পারেননি জাতীয় দলের নির্বাচকদের।
তবে এ নিয়ে তার কোন আক্ষেপ নেই। আছে সন্তুষ্টি। সন্তুষ্টির কথা বলতে গিয়ে তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘আক্ষেপ নেই। আমি সন্তুষ্ট। চেষ্টা করবো ভবিষ্যতে যতদিন ক্রিকেট খেলবো আমার পারফরম্যান্স ভালো রাখার এবং হার্ডওয়ার্ক করে প্রত্যেক টুর্নামেন্টে ভালো করার।’
নিজের পারফরম্যান্সের কথা বলতে গিয়ে এই ক্রিকেটার গত চার বছরের পারফরম্যান্স তুলে ধরেন। নির্বাচকরা তবুও কেন বিবেচনা করছেন না তাও তিনি জানেন না বলেই দাবি করেন। তিনি বলেন, ‘২০১৩ সালে জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পর গত চারটা বছর আমার ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম্যান্স জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার জন্য যথেষ্ট ভালো ছিল। আল্লাহর অশেষ রহমতে আমি প্রত্যেকটা ফরমেটেই ভাল খেলেছি এবং সবার থেকেই মোটামুটি ভালো খেলেছি। তারপরও নির্বাচকরা আমাকে বিবেচোনা করেন নাই।’
সিলেক্টর বা সিলেকশনের বিষয় নিয়ে কিছুটা আক্ষেপের সুরে এই তারকা বলেন, ‘আসলে সিলেকশনের বিষয়টা আমার হাতে না। সিলেকশন নিয়ে আমি আসলে কিছু বলতে চাই না কারণ সিলেক্টোরের এই বিষয়ে (নাফীসের দলে স্থান না পাওয়া) সবচেয়ে ভালো উত্তর দিতে পারবেন।’
বাংলাদেশ দলের অন্যতম ভরসার নাম হতে পারতো শাহরিয়ার নাফীস, তবে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় আফসোসের নাম শাহরিয়ার নাফীস। শেষ ১০টি ম্যাচেও প্রাইম দোলেশ্বরের হয়ে ৪টি হাফ সেঞ্চুরি করে বাঁ-হাতি এই তারকা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন