ট্রাম্পের জন্য আরও দুঃসংবাদ! নিষিদ্ধ হতে পারেন টুইটারে

গত ৩ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে অনুষ্ঠিত হয়েছে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এই নির্বাচনে বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান পার্টির প্রার্থী ডোনাল্ড ট্রাম্পকে হারিয়ে জয় পেয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন। তবে বাইডেনের এই জয় মেনে নিতে পারেননি যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট।

এসবের মাঝেই ট্রাম্পের জন্য এলো আরও এক দুঃসংবাদ। হোয়াইট হাউস ছাড়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম টুইটারে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পকে নিষিদ্ধ করা হতে পারে। টুইটারের একজন মুখপাত্র বৃহস্পতিবার ফোর্বস ম্যাগাজিনকে একথা জানিয়েছেন।

অভিযোগ রয়েছে, ট্রাম্প টুইটারে করোনাভাইরাস নিয়ে লাগাতার ষড়যন্ত্র তত্ত্ব ও নির্বাচনে জালিয়াতি সম্পর্কে মিথ্যা দাবি প্রচার করেছেন। তার এসব দাবি দেশটির নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং বিচার বিভাগ প্রত্যাখ্যান করেছেন। যে কারণে টুইটারকে ‘সত্যতা যাচাই করতে’ এবং নির্দিষ্ট টুইটের ওপর সতর্কতার লেবেল লাগাতে বাধ্য করছে।

টুইটারের ‘ওয়ার্ল্ড লিডার পলিসি’র আওতায় পড়ায় এতোদিন ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া যায়নি। ওয়ার্ল্ড লিডার নীতির আওতায় সাধারণত বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধান যেমন- প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং অন্যান্য শাসকদের গণ্য করা হয়। এদের মধ্যে যাদের যথেষ্ট সংবাদ-মূল্য আছে তারা টুইটারের কিছু নিয়ম ভঙ্গ করলেও ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সেই সুবিধাই ভোগ করে আসছেন ট্রাম্প। যদিও গত কয়েক মাসে ডোনাল্ড ট্রাম্পের বেশ কিছু টুইটে সতর্কতা চিহ্ন যোগ করে গোপন করে রাখে টুইটার। সতর্কতা পড়ার পর আগ্রহীরা চাইলে ক্লিক করে সেসব পোস্ট দেখতে পেতেন। কিন্তু তাতেও ট্রাম্পকে থামানো যাচ্ছে না।

‘জানুয়ারির ২০ তারিখের পর থেকে ট্রাম্প আর ‘ওয়ার্ল্ড লিডার নীতি’র আওতায় পড়বেন না। সাধারণ নাগরিকদের মতোই তাকে টুইটারের বিধিমালা মেনে চলতে হবে’, টুইটারের ওই মুখপাত্র বলেন ফোর্বসকে।