ট্রাম্পের শর্ত ফিলিস্তিনিদের মানতে হবে : সৌদি যুবরাজ
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ‘শান্তি প্রস্তাবের’ যেসব শর্ত দিয়েছে সেগুলো অবশ্যই ফিলিস্তিনি নেতাদের মানতে হবে বলে জানিয়েছেন সৌদি যুবরাজ প্রিন্স মোহাম্মদ বিন সালমান। তিনি বলেছেন, ফিলিস্তিনিদের হয় যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে উত্থাপিত শান্তি প্রস্তাব মেনে নিতে হবে অথবা চুপ হয়ে যেতে হবে।
সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্র সফরে গিয়ে ইহুদি নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন বলে ইসরাইলের চ্যানেল টেনের বরাত দিয়ে সোমবার জানিয়েছে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরা।
নিজেদের ভূখণ্ড পূর্ব জেরুজালেমকে ভবিষ্যৎ রাষ্ট্রের রাজধানী হিসেবে দেখেন ফিলিস্তিনি নেতারা। ১৯৬৭ সালে আরব যুদ্ধে পূর্ব জেরুজালেম দখল করে নেয় ইসরাইল। ইসরায়েল-ফিলিস্তিন সমস্যা সমাধানে ‘শান্তি প্রস্তাব’হিসেবে গত বছরের ডিসেম্বরে জেরুজালেমকে ইসরাইলের রাজধানী হিসেবে ঘোষণা দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার এমন প্রস্তাবে সমালোচনার ঝড় বইলেও ট্রাম্প তাতে কর্ণপাত করেননি। অন্যদিকে জেরুজালেমের বাইরের একটি গ্রাম আবু দিজকে ফিলিস্তিনের রাজধানী হিসেবে প্রস্তাব করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
ট্রাম্পের দেয়া প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাস। ট্রাম্পের ‘শান্তি প্রস্তাব’ মেনে নিতে সৌদি যুবরাজ সালমান ফিলিস্তিনি নেতাদের চাপ দিচ্ছেন বলে ইসরাইলের চ্যানেল টেনে প্রচারিত সংবাদে বলা হয়েছে।
ইহুদিগোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে ওই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে ফিলিস্তিনি প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসের তীব্র সমালোচনা করেন সৌদি যুবরাজ বলেন, ‘গত ৪০ বছরে ফিলিস্তিনি নেতারা বারবার সুযোগ হাতছাড়া করেছেন এবং তাদের যতগুলো প্রস্তাব দেয়া হয়েছে সবগুলো প্রস্তাব তারা প্রত্যাখ্যান করেছেন। এখন সেসব প্রস্তাব মেনে ফিলিস্তিনিদের আলোচনায় বসতে হবে অথবা চুপ থাকতে হবে। তারা কোনো অভিযোগ করতে পারবে না।’
মোহাম্মাদ বিন সালমান বলেন, এই মুহূর্তে রিয়াদের অগ্রাধিকারভিত্তিক কর্মসূচিগুলোর মধ্যে ফিলিস্তিন ইস্যু নেই। তিনি বলেন, ‘আমাদের হাতে আরো অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ ইস্যু রয়েছে- যেমন ইরান।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন