টয়লেটের কমোড ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ করলে কিন্তু ভয়ঙ্কর বিপদ!
টয়লেটের কাজ সারার পর কমোডের ঢাকনাটি বন্ধ করেই তাতে ফ্লাশ করা জরুরি। আর নয়তো ভয়ঙ্কর বিপদ আছে।
কেন জানেন? কারণ আপনি যখন কামোডে ফ্লাশ করেন তখন তাতে যে তীব্র গতিতে পানি নেমে আসে এর ফলে পায়খানার ছোটা ছোট টুকরো স্প্রে আকারে বাতাসে মিশে গিয়ে ছড়িয়ে পড়তে পারে। বাতাসে মিশ্রিত পায়খানা ১৫ ফুট পর্যন্ত উচ্চতায় উঠতে পারে।
সুতরাং আপনি যখনই টয়লেটের কমোড ফ্লাশ করবেন তখনই এর ঢাকনাটি নামিয়ে নেবেন।
সম্প্রতি অ্যাপ্লাইড মাইক্রোবায়োলজি নামের জার্নালে প্রকাশিত একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, টয়লেটের কমোডে আপনি যা কিছুই রাখেন না কেন তা সেখানে ফ্লাশ করার পরও দীর্ঘক্ষণ থাকতে পারে। এমনকি কামোড ঘষে-মেজে ধোয়ার আগ পর্যন্ত সেখানে জীবাণুরা থেকে যায়।
টয়েলেটে বিপজ্জনক কোনো ব্যাকটেরিয়া এবং ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটলে তা ওয়াশরুমের মেঝে, সিঙ্ক এবং এমনকি আপনার টুথব্রাশেও ছড়িয়ে পড়তে পারে।
কমোড ফ্লাশের সময় পানির তীব্র গতির আঘাতে বাতাসের সঙ্গে স্প্রে আকারে মিশে যাওয়া পায়খানা মুখে প্রবেশ করে স্যালমোনেলা, শিঘেলা, নরোভাইরাস এবং হেপাটাইটিস এ ভাইরাসের সংক্রমণ ঘটতে পারে আপনার দেহে।
সুতরাং আপনার মুখগহ্বর পরিষ্কার সংক্রান্ত জিনিসপত্র টয়লেটের বাইরের ক্যাবিনেটে সংরক্ষণ করাটাই সবচেয়ে ভালো বুদ্ধি।
আর টয়লেট ত্যাগের আগে অবশ্যই প্রতিবার হাত ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে বের হবেন।
ওয়াশরুমে বংশবিস্তার করে এমন কয়েকটি ক্ষতির জীবাণু হলো- পাকস্থলি ও অন্ত্রের রোগ সংশ্লিষ্ট ভাইরাস, আণবিক প্যাথোজেন, ত্বকের রোগের জীবাণু, শ্বাসণালীর রোগ সংশ্লিষ্ট জীবাণু, ক্ষুদ্র ছত্রাক।
এছাড়া E.coli, Pseudomonas aeruginosa, Staphylococus aureus, Enterbacter এর মতো বিপজ্জনক জীবাণুও ওয়াশরুমে জন্ম নেয়।
সুতরাং পাবলিক ওয়াশ রুম বা টয়লেট ব্যবহারের সময়ও সাবধান থাকতে হবে। টয়লেটের দরজা কখনোই খালি হাতে ধরবেন না। ভেতর বা বাহির যে কোনো দিক থেকেই দরজা খোলার সময় এর নবটি টিস্যু পেপার দিয়ে ধরবেন।
আর ব্যাগ বা ফোন নিয়ে ওয়াশ রুম বা টয়েলেটে প্রবেশ করবেন না। কারণ সেসবে জীবাণু লেগে পরে তা আপনার দেহে প্রবেশ করবে।
সংক্রমণ থেকে রেহাই পেতে ভালো করে হাত ধোয়ার পর তা পেপার টাওয়েল দিয়ে মুছতে হবে।
পশ্চিমা ধাঁচের হাই কমোড থেকে প্রাচ্য ধাঁচের নিচু কমোডই এ কারণে বেশি নিরাপদ। তবে হাই কমোডেই কাজ সারতে বাধ্য হলে কমোডে না বসেই কাজ সারার চেষ্টা করুন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন