ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ হাসপাতালে চিকিৎসক সংকট, ৪ লাখ মানুষের সেবায় ৪জন ডাক্তার

নানা সমস্যায় জজরিত ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটিতে ৩২ চিকিৎসকের স্থলে কর্মরত মাত্র ৪জন। ফলে ৫০ শয্যার এ হাসপাতালের চিকিৎসাসেবা পেতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষকে।

চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার ভরসাস্থল এ হাসপাতালটি হওয়ায় বেশ অসুবিধায় পড়েছেন সাধারণ রোগী ও স্বজনরো। দ্রুত ডাক্তার সংকট নিরসনে পদক্ষেপ নেয়ার দাবি সেবা প্রত্যাশীদের।

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি আবু তারেক বাঁধন রিপোর্টে বিস্তারিত জানাচ্ছেন।

ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার প্রায় চার লাখ মানুষের স্বাস্থ্যসেবার একমাত্র ভরসাস্থল পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স। ২০১০ সালে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি ৩১ শয্যা থেকে ৫০ শয্যায় উন্নীত হলেও বাড়েনি সেবার মান। বর্তমানে হাসপাতালটিতে চিকিৎসক ৩২ জন থাকার কথা থাকলেও এখন রয়েছে মাত্র ৪ জন।

আর মাত্র চারজন ডাক্তারকে দিয়ে কোনো মতে চলছে চিকিৎসাসেবা।

অন্যদিকে হাসপাতালে প্রায় ছয় বছর ধরে সিজার কার্যক্রম বন্ধ আছে। ফলে এলাকার গর্ভবতী নারীদের বিপাকে পড়তে হচ্ছে। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সহজ সরল রোগীদের বিভিন্ন ক্লিনিক বা ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিতে এক ডজনেরও বেশি দালালচক্র সক্রিয় রয়েছে হাসপাতাল চত্বরে। কম খরচে চিকিৎসা করে দেওয়ার কথা বলে হাসপাতাল থেকে রোগী ভাগিয়ে নিয়ে বেশি টাকায় সিজার করেন।

২০২৩ সালে ১৬ এপ্রিল পীরগঞ্জ হাসপাতালে নতুন প্রটোকল এক্স-রে মেশিন সরবরাহ করে কর্তৃপক্ষ। মেশিনটি এক্স-রে কক্ষে সেট আপও করা হয়। কিন্তু মেডিকেল টেকনোলজিস্ট না থাকায় এক্স-রে কার্যক্রম চালু হয়নি।

সড়ক দুর্ঘটনায় আহত কিংবা কাটাছেঁড়া করা রোগী জরুরি বিভাগে এলে টাকা ছাড়া সেবা পায় না বলে অভিযোগ রয়েছে।

পীরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আব্দুল জব্বার বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে চিকিৎসাসেবা প্রদানে গাফিলতি করা হচ্ছে না। ডাক্তার সংকটের বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বহুবার জানানো হয়েছে।’