ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈলে ভূমি সপ্তাহ উপলক্ষে আলোচনা সভা
‘স্মার্ট ভূমি সেবায় ভূমি মন্ত্রণালয়’ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে ভূমি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ২২ মে সোমবার থেকে রোববার পর্যন্ত সারা দেশে ‘ভূমি সেবা সপ্তাহ—২০২৩’ উদযাপনকরা হচ্ছে।
এরই ধারাবাহিকতায় ঠাকুরগাঁয়ের রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাশনের আয়োজনে উপজেলা নিবার্হী অফিসার সোহেল সুলতান জুলকার নাইন কবিরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আযম মুন্না, অতিথি আওয়ামী লীগ সভাপতি সইদুল হক,বিশেষ অতিথি পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান, বিশেষ উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শেফালী বেগম, বিশেষ কৃষি অফিসার সঞ্জয় দেব নাথ, অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান, নেকমরদ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল হোসেন, রাতোর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায়, উপজেলা আওয়ামী লীগেরে যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ হোসেন বিপ্লব, পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম, সাংবাদিক আনোয়ারল ইসলাম, সাংবাদিক মোবারক
আলী প্রমূখ।
অনুষ্ঠানে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহরিয়ার আযম মুন্না বলেন,আমাদের এ এলাকায় কিছু ভূমি দস্যু রয়েছে এ বিষয়ে আমাদের সচেতন হতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এ উদ্যোগকে স্বাগত জানাই। তিনি এমন স্মার্ট ভূমিসেবার উদ্যোগ নিয়েছেন।
আওয়ামী লীগ সভাপতি সইদুল হক বলেন, বিশেষ করে গ্রাম্য সালিসের বৈঠকে বসলে ভূমি সংক্রান্ত ঝামেলা হয় সবচেয়ে বেশি তা হল যখন বেশ ক’টি দলিল দেখা যায়। কোনটা সঠিক আমরা সমস্যায় পরে যাই,একসময় দলিলের সত্যতা দেখার জন্য রেকর্ড রুমে গেলে সেখানে দেখা যায় রেকর্ডকৃত কাগজের পাতাটি ছেড়া। এমন সমস্যা থেকে বের হতে ম্মার্ট ভূমি সেবা শুরু হয়েছে। পৌর মেয়র মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, ‘ এখনো আমরা ভূমি থেকে শতভাগ দূর্নীতিমুক্ত হতে পারিনি। আমাদের অনেক সমস্যা আছে। সংশ্লিষ্ট প্রশাসনকে এ বিষয়ে আরো সচেতন হতে হবে।’ বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুর রহমান তার বক্তব্যে বলেন,’বঙ্গবন্ধু
শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলা গড়তে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্মার্ট ভূমিসেবার আয়োজন। ‘
চেয়ারম্যান শরৎ চন্দ্র রায় চেয়ারম্যান তার
বক্তব্যে বলেন, রাতোর ইউনিয়নে সরকারের অনেক জমি রয়েছে এসব জমি সরকারকে উদ্ধার করতে হবে। অযথা গুটি কয়েক মানুষ এসব জমি ভোগ দখল করে আছে।’
অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ইন্দ্রোজিত সাহা। উল্লেখ্য— ভূমিসেবা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে উপজেলা সংশ্লিষ্ট ভূমি অফিসে ক্যাম্প করে সেবা বুথ স্থাপন করা হয়েছে। সেবাবুথে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে প্রযোজ্য ভূমিসেবা বিষয়ে অবহিত করা হবে এবং পরামর্শ সেবা দেওয়া হবে। উপজেলা পর্যায়ে যেসব ভূমি সেবা প্রদানে বিশেষ গুরুত্বারোপ করা হয়েছে সেগুলো হচ্ছে: ই—নামজারির আবেদন গ্রহণ, ভূমিহীনদের মধ্যে বন্দোবস্তকৃত কৃষি খাস জমির কবুলিয়ত ও দলিল হস্তান্তর, অনলাইনে ডিসিআর ও খতিয়ান ইত্যাদি সেবাসমূহ প্রদানের ব্যবস্থা করা, মাঠ পর্যায়ে চলমান জরিপ কার্যক্রম বিষয়ে গণশুনানি, আপত্তি/আপিল দাখিল ও নিষ্পত্তির কার্যক্রম গ্রহণ করা, মাঠ পর্চা, রেকর্ড হস্তান্তরসহ বিবিধ সেবা দেওয়া। এছাড়া ই—নামজারি, অনলাইন ভূমি উন্নয়ন, খতিয়ান ও মৌজা ম্যাপ বিষয়ে ব্যাপক অবহিতকরণ ও গণসচেতনতা কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে। সেবা গ্রহীতাদের সেবা
সম্পর্কিত বিভিন্ন জিজ্ঞাসার জবাব সরাসরি উত্তর প্রদানের জন্য সেবা বুথে কর্মকর্তা নিয়োজিত থাকবেন।
সারা দেশে স্মার্ট ভূমি ব্যবস্থা চালু হলে নাগরিকদেরকে খুব প্রয়োজন ছাড়া ভূমি অফিসে যেতে হবে না, একবার কোথাও ডিজিটাল জরিপ সম্পন্ন হলে, সেখানে ভবিষ্যতে আর জরিপ করার প্রয়োজন পড়বে না। ভূমি নিয়ে মামলা—মোকাদ্দমা ও সীমানা বিরোধ কমে যাবে বহুলাংশে এমন ধারণঅ করছেন সচেতন এলাকাবাসী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন