ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামীলীগ নেতার বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ, এলাকাবাসীর সড়ক অবরোধ

ঠাকুরগাঁওয়ে আওয়ামীলীগ নেতা বাবলুর রহমান এর বিরুদ্ধে সরকারি একোয়ারকৃত জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। রোববার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার সালান্দর শিংপাড়ায় এলাকায় আওয়ামী লীগ নেতা বাবলুর সন্ত্রাসী বাহিনী জমি দখল করতে গেলে স্থানীয়দের ধাওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী পালিয়ে যায়। এ সময় জমি দখলের সহযোগিতা করার অভিযোগে এক পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী।

পরে এলাকাবাসী ভূমিদস্যু আওয়ামীলীগ নেতার বিচার ও পুলিশের সদস্যকে বহিষ্কার দাবিতে ঠাকুরগাঁও-পঞ্চগড় মহাসড়ক অবরোধ করেন।

পরে সেনাবাহিনীর আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেন এলাকাবাসী।
স্থানীয় জানায়, ১৯৫২ সালে ২০৮ একর জমি সরকারি ভাবে একোয়ার হয়। পরবর্তীতে স্থানীয় ভূমিহীন ও অস্বচ্ছল ২৮টি পরিবারকে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করেন সরকার। এখন প্রায় সেখানে ৪০০টি পরিবার বসবাস ও ভোগ দখল করে আসতেছেন।

গত বছর ঠাকুরগাঁও জেলা আওয়ামীলীগ নেতা বাবলুর রহমান ২৩ একর জমি ভুয়া এক পক্ষের কাছে ক্রয় করেন। এটি নিয়ে ৩টি মামলা চলমান।

রোববার দুপুরে আওয়ামী লীগ নেতা বাবলুর রহমান জোরপূর্বক ভাবে টাকার জোরে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে ও এক পুলিশ সদস্যের সহযোগিতায় জমি দখলের চেষ্টা করলে স্থানীয়রা সন্ত্রাসীদের ধাওয়া দিলে তারা পালিয়ে গেলেও এক পুলিশ সদস্যকে অবরুদ্ধ করেন এলাকাবাসী।

পরে সেই অবরুদ্ধ পুলিশ সদস্যকে সেনাবাহিনী ও পুলিশের উদ্ধর্তন কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় উদ্ধার করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দা বাবুল ইসলাম জানান, ১৯৫২ সালে সরকারি ভাবে আমাদের ২৮টি পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়। আমাদের কাগজ পত্র সব আছে। সুপ্রিয় বাবলু আওয়ামীলীগ সরকার থাকাকালীন ভুয়া কাগজ পত্র বানিয়ে ২৩ একর জমি এক পক্ষের কাছে ক্রয় করেন। আমরা আদালতে ৩টি মামলা করি, প্রত্যেকটি মামলায় আমাদের পক্ষে রায় এসেছে।
আমরা সকলে ভূমিদস্যু বাবলু রহমানের বিচার চাই এবং সুষ্ঠ তদন্ত করে এই ঘটনার সাথে জড়িত ঐ পুলিশ সদস্যের শাস্তি চাই।

এ বিষয়ে বাবলুর রহমান এর সাথে কথা বললে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন।

ঠাকুরগাঁও পুলিশ সুপার শেখ জাহিদুল ইসলাম জানান, জমি দখলের কাজ কোন পুলিশের না। যদি কোন পুলিশ সদস্য অন্যায় করে থাকে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।