ঠাকুরগাঁওয়ে কৃষকের ধান কেটে মাথায় করে বাড়িতে পৌঁছে দিলো জেলা ছাত্রলীগ
আগামীতে কালবৈশাখী ঝড়ের সঙ্গে শিলাবৃষ্টিতে জমির পাকা ধান নষ্ট হয়ে যাবে এমন দুশ্চিন্তায় কপালে ভাজ পরেছিল ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের কৃষক আফতাব উদ্দিন।
বিষয়টি জানতে পেরে প্রায় ২বিঘা জমির ইরি ধান কেটে বাড়ি পৌঁছে দিলেন ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের নেতারা।
শনিবার (২৯ এপ্রিল) সকালে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আজাহারুল ইসলাম নেতৃত্বে জেলা ছাত্র লীগের নেতাকর্মীরা কৃষক আফতাব উদ্দিনের জমির পাকা ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দেন।
ধান কাটা ও বাড়ি পৌঁছে দেওয়ায় জেলা ছাত্রলীগ নেতাদের পাশাপাশি অংশ নেন উপজেলা ও ইউনিয়ন ছাত্রলীগের অন্তত ২৫ জন নেতাকর্মী।
এবিষয়ে কৃষক আফতাব উদ্দিন জানান, আমি হতদরিদ্র কৃষক। আমার ধান পাকা ধান ক্ষেতে নষ্ট হচ্ছিল। কিন্তু শ্রমিক ও আর্থিক সঙ্কের কারণে ধান কাটতে পারছিলাম না। জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আমাদের ঠাকুরগাঁওয়ের কৃতি সন্তান। সে আমার বিষয়টি জানতে পেরে আজ সকাল থেকে ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছেন। আমি দোয়া করি, আল্লাহ যেন তাকে আরও অনেক বড় মনের মানুষ তৈরী করেন।
ঠাকুরগাঁও ছাত্রলীগের নেতারা জানান,করোনাকালীন থেকে শুরু করে আমরা প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ছাত্রলীগ এই কার্যক্রম হাতে নেয়। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বাংলাদেশ কেন্দ্রীয় ছাত্র লীগের ঘোষণা অনুযায়ী আমরা কৃষকদের পাশে থেকে এভাবে কাজ করে যাবো।
আর এদিকে প্রচুর গরমের সাধারণ কৃষকরা ধান কাটতে পারে না। এছাড়া সংকট দেখা দিয়েছে শ্রমিকদের এ অবস্থায় যখন কৃষকরা তাদের সোনালী স্বপ্ন ঘরে তুলতে পারছিলেন না, তখন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সারাদেশে তাদের পাশে দাঁড়ায়। এরই ধারাবাহিকতায় এবছরেও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ প্রেস বিজ্ঞপ্তির মধ্যমে ধান কাটা কর্মসূচি ঘোষণা করে। সেই কর্মসূচির অংশ হিসেবে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগ এই উদ্যোগ নেয় এবং তা বাস্তবায়ন করে।
ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন, কৃষক বাঁচলে বাঁচবে দেশ, শেখ হাসিনার বাংলাদেশ এই শ্লোগানকে মনে প্রাণে ধারণ করে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের নির্দেশে কৃষকের ধান কেটে বাড়িতে পৌছে দেয়া শুরু করেছি। আমি খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারি যে, সদর উপজেলার মোহাম্মদ পুর ইউনিয়নের মাতৃগাঁও গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মো.শহিদুল শেখের ৫০ শতাংশ ধান শ্রমিক ও আর্থিক সঙ্কটের জন্য ধান কাটতে পারছিল না। বিষয়টি জানার পর ধান কেটে বাড়িতে পৌঁছে দিয়েছি। আমাদের এই কাজ অব্যাহত থাকবে বলে ইনশাআল্লাহ ।
এদিকে দরিদ্র কৃষকের জন্য এমন তৎপরতায় প্রশংসা ভাসছেন জেলা ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ। বিশেষ করে জেলাজুড়ে সাধারণ মানুষ, কৃষকসহ সচেতন মহল তাদের ধন্যবাদ অভিনন্দন এবং কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। আগামীতেও অসহায় মানুষের পাশে তারা এমন নির্ভরশীলতার প্রতীক হয়ে দাঁড়াবেন বলেই তারা প্রত্যাশা ব্যক্ত করেছেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন