ঠাকুরগাঁওয়ে ডিজিটাল প্রযুক্তির মাধ্যমে প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের অর্থ আত্মসাৎ, গ্রেপ্তার ৩

ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে কৌশলে ঠাকুরগাঁওয়ের প্রতিবন্ধী ভাতাভোগীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় একটি সংঘবদ্ধ চক্রের ৩ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন ঠাকুরগাঁওয়ের পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- গাইবান্ধা জেলার মোন্নাপাড়া গ্রামের মিহির উদ্দীনের ছেলে আজল হক (৫৭), একই জেলার চন্ডিপুর গ্রামের মোশারফ হোসেনের ছেলে কামরুল ইসলাম হিরু (২৫) ও একই জেলার বিশ^নাথপুর গ্রামের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে মোহাম্মদ শাকিল (২৩)।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক জানায়, একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্র ডিজিটাল প্রযুক্তির অপব্যবহার করে প্রতিবন্ধী ভাতা-ভোগীদের রক্ষিত ভাতার অর্থ আত্মসাৎ করার ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়। এরই প্রেক্ষিতে ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের একটি চৌকস দল আমরা ব্যাপকভাবে তদন্ত করতে থাকে।

তিনি বলেন, সংঘবদ্ধ চক্রের সদস্যরা নিজেদের সমাজসেবা অধিদপ্তরের লোক পরিচয় দিয়ে প্রতিবন্ধী ভাতাপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের সঙ্গে ইৎরষষরধহঃ অঢ়ঢ়ং অ্যাপের যোগাযোগ স্থাপন করেন। যোগাযোগ করার এক পর্যায়ে ঐ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কাছ থেকে কৌশলে বিকাশ অথবা নগদের ওটিপি কোড সংগ্রহ করে নেন এবং প্রতিবন্ধীদের বিকাশ অথবা নগন একাউন্টটি তাদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে ফেলেন।

এরপর ডিজিটাল প্রতারণার মাধ্যমে প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করে। দীর্ঘদিন যাবৎ এই প্রতারক চক্রটি প্রতিবন্ধীদের ভাতার টাকা আত্মসাৎ করে আসছিল বলে স্বীকার করেছেন।

প্রতিবন্ধীদের ভাতাভোগীদের অর্থ আত্মসাতের ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলা পুলিশের একটি চৌক দল গাইবন্ধা জেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে আজল হক (৫৭), কামরুল ইসলাম হিরু (২৫) ও মোহাম্মদ শাকিল (২৩) কে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় গ্রেফতারকৃতদের কাছ থেকে প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত বিভিন্ন মোবাইল ফোন, সিম, বায়োমেট্রিক রেজিস্ট্রেশন এর কিট, অর্থ লেনদেনের রেকর্ডপত্র ও সিপিইউ জব্দ করে পুলিশ।

এ ঘটনায় ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল থানায় সাইবার নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানান পুলিশ সুপার উত্তম প্রসাদ পাঠক।