ঠাকুরগাঁওয়ে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন বাড়াতে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল জব্দ
ঠাকুরগাঁওয়ে নিষিদ্ধ কারেন্ট জাল, ভেসাল ও চায়না জাল দিয়ে অবাধে মাছ শিকার করছে শিকারিরা। ফলে বিলুপ্তি ও চরম হুমকিতে রয়েছে দেশীয় প্রজাতির মাছ ও মাছের রেণু পোনাসহ বিভিন্ন প্রকার জলজ প্রাণী।
এতে প্রাকৃতিক সবধরনের দেশীয় মাছ ধরা পড়ছে চায়না জালে। এতে করে ক্রমেই মাছ শূন্য হয়ে পড়ছে নদ-নদী, খাল-বিল ও ছোট নদীগুলো। চরম এই হুমকিতে সদর উপজেলার ২২ নং সেনুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মতিউর রহমান এর নির্দেশে ছোট বড়সহ প্রায় ১৫টি কারেন্ট জাল জব্দ করেছে স্থানীয় গ্রাম পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২৪ আগস্ট) গভীররাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে দফাদার আব্দুল হালিমের নেতৃত্বে ছোট বড় এই ১৫টি জাল জব্দ করা হয়।
মতিউর রহমান বলেন, বেশ কিছুদিন ধরে কিছু দুষ্ট প্রকৃতির মানুষ ও স্থানীয় জেলেরা মাছ ধরছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে আমি গ্রাম পুলিশদের নির্দেশ দিলে এই কারেন্ট জালগুলো জব্দ করতে সক্ষম হয়।
তিনি বলেন, এক একটি মা মাছ থেকে অগণিত পোনা পাওয়া সম্ভব। এইসব পোনা মাছ বড় হওয়ার সুযোগ দিলে অনেকটাই দেশীয় চাহিদা পুরন করবে বলে আমি আশা করি। কিন্তু অসাধু মাছ শিকারকারীরা বিভিন্ন চায়না ও নিষিদ্ধ জাল দিয়ে এমন ভাবে মাছ শিকার করছে যা ছোট থেকে বড় সব ধরনের মাছ এই জালে আটকা পড়ে। এভাবে মাছ শিকার করলে আগামী দিনে আমরা দেশীয় মাছ চাহিদামত পাবো না। এছাড়াও বিভিন্ন বিলের কাছের মানুষেরা মাছের পোনা নিধন করে বিক্রি করছে আর কিছু মানুষ তা খাওয়ার জন্য কিনে নিয়ে যাচ্ছে। এজন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধি করতে হবে এবং কারেন্ট জালগুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হব।
তিনি আরো বলেন, দেশীয় মাছের প্রজনন ও পোনা মাছের প্রজননক্ষম রক্ষার্থে মৎস্য সুরক্ষা আইন বাস্তবায়নে এ অভিযান অব্যাহত থাকবে এবং আটককৃত কারেন্ট জাল গুলো উপজেলা মৎস্য অফিসে প্রেরণ করা হবে। চেয়ারম্যান এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন স্থানীয় সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও স্থানীয়রা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন