ঠাকুরগাঁওয়ে বিমানবন্দর, ইপিজেড, বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল কলেজ চালুর দাবি
ঠাকুরগাঁওয়ের পরিত্যক্ত বিমানবন্দর, ইপিজেড, মেডিকেল কলেজ ও পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয় চালুর দাবিতে মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) দুপুরে ঠাকুরগাঁও চৌরাস্তায় নাগরিক উন্নয়ন ফোরামসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠানের ব্যানারে এ মানববন্ধন কর্মসূচী পালিত হয়।
ঘণ্টাব্যাপী মানববন্ধন কর্মসূচীতে বক্তব্য দেন ঠাকুরগাঁও জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, নাগরিক উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি সত্য প্রসাদ ঘোষ, জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পায়গাম আলীসহ আরও অনেকে।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, ঠাকুরগাঁও রংপুর বিভাগের একটি সম্ভাবনাময় জেলা। অর্ন্তবর্তীকালীন সরকারের সুদৃষ্টি খুব তীক্ষ্ণভাবে পড়লে এ জেলা বাংলাদেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধিতে অনেক বেশি অবদান রাখবে। এ জেলায় পরিত্যক্ত বিমানবন্দরটি চালুর জন্য ইতিপূর্বে অনেকেই আশ্বাস দিয়েছেন।
কিন্তু এখনো সেটি চালু হচ্ছেনা৷ অথচ এখানে বিমানবন্দরটি চালু হলে একদিকে যেমন যাতায়াতের সুবিধা হবে অন্যদিকে অর্থনীতির খুঁটি মজবুত হবে। এখানে বিনিয়োগ করতে আগ্রহী হবেন ব্যবসায়ী ও শিল্পপতিরা।
তারা আরও বলেন, ঠাকুরগাঁও ২৫০ শয্যার হাসপাতালে সবসময় ৫০০-৭০০ রোগী চিকিৎসা নিয়ে থাকে। শুধু ঠাকুরগাঁও নয় আশপাশের নীলফামারী, পঞ্চগড়, বীরগঞ্জসহ অন্যান্য অঞ্চলের রোগীরাও এখানে সেবা নেন। এজন্য স্বাস্থ্যসেবার মান উন্নয়নে এখানে মেডিকেল কলেজটা খুবই প্রয়োজন।
বক্তারা বলেন, উত্তরের এই জেলা আর কতদিন অবহেলিত থাকবে? মেডিকেল কলেজের অভাবে বিনা চিকিৎসায় মানুষ মরছে।
বক্তারা হুঁশিয়ারী দিয়ে বলেন, দাবি না মানলে আরও কঠোর আন্দোলনে যাবেন তারা। মানববন্ধনে স্কুল-কলেজ পড়ুয়া শিক্ষার্থীরা সহ সর্বস্তরের মানুষ অংশ গ্রহণ করেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন




