ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জন

ঠাকুরগাঁওয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা মো: নজরুল ইসলাম চৌধুরীর অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের পেশাগত কাজে বাধা, কক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে জেলা প্রশাসকের (ডিসি) বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় সাংবাদিকেরা। এ সময় শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর অনুষ্ঠান বর্জন করেন জেলার সাংবাদিকরা।

রোববার (১৪ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রীর একটি অনুষ্ঠানে পেশাগত কাজে জেলার সাংবাদিকেরা উপস্থিত হন। এসময় সাংবাদিকদের অনুষ্ঠান কক্ষে প্রবেশের বাঁধা দেওয়া হয়। এ ঘটনায় উপস্থিত সকল সাংবাদিকেরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে অনুষ্ঠানস্থল ত্যাগ করেন। এবং প্রতিবাদস্বরূপ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে অনুষ্ঠান বর্জন করে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন।

এসময় সাংবাদিকরা বলেন, আমাদেরকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের শ্রম ও কর্মসংস্থান প্রতিমন্ত্রী অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে না দেওয়ার প্রতিবাদে আমরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের নিচে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।

এবিষয়ে প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ আমীন সরকার বলেন, ঠাকুরগাঁও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের একটি অনুষ্ঠানের সকল সাংবাদিকদের দাওয়াত দেওয়া হয়। দাওয়াত দেওয়ার পরও তাদেরকে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি এবং তাদেরকে বসার কোন জায়গা দেওয়া হয়নি। আমরা সকল সাংবাদিকেরা জেলা প্রশাসকের সকল অনুষ্ঠান বর্জন করলাম।

ঠাকুরগাঁও সময় টেলিভিশনের স্টাফ রিপোর্টার ও গণমাধ্যমকর্মী কল্যাণ ট্রাষ্টের সভাপতি জিয়াউর রহমান বকুল বলেন, আজকে শ্রম ও কর্মসংস্থার প্রতিমন্ত্রীর একটি অনুষ্ঠানে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এটি গণমাধ্যমের জন্য একটি হুমকিস্বরূপ এর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাই।

ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক ইতেফাক’র জেলা প্রতিনিধি তানভীর হাসান তানু বলেন, আজকে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে শ্রম ও কর্মসংস্থানের প্রতিবন্ধী অনুষ্ঠানে আমার সংবাদকর্মীদের প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। এবং পেশাগত দায়িত্ব পালনে বাঁধা দেওয়া হয়। আমি তারপরও সে অনুষ্ঠানে প্রবেশ করি এবং দেখি যে আমার প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুনসুর আলী অনুষ্ঠানে পিছনে। তার জন্য কোন ধরনের চেয়ারের ব্যবস্থা করা হয়নি এরই প্রতিবাদে আমরা জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মাহবুবুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।