ঠাকুরগাঁওয়ে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই অসুস্থ গরু জ*বাই, মাংস নিয়ে পলাতক ব্যবসায়ী

ঠাকুরগাঁওয়ে ভূল্লীতে স্বাস্থ্য পরীক্ষা ছাড়াই অসুস্থ গরু জবাই করার ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় মাংস নিয়ে পলাতক রয়েছে ব্যবসায়ী মজিবর রহমান ও পশু চিকিৎসক আব্দুল হাকিম।
বুধবার সকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভূল্লী বাজারে সকলের অগোচরে একটি অসুস্থ গাভীন গরু জবাই করেন বিসমিল্লাহ মাংস ঘর এর প্রোপাইটর মজিবর রহমান।
বিষয়টি স্থানীয়রা টের পেলে তাৎক্ষনিক মাংস নিয়ে পালিয়ে যান মাংস ব্যবসায়ী মজিবর রহমান। এ ঘটনায় স্থানীয়দের মাঝে চরম ক্ষোভ দেখা দিয়েছে।

নিয়ম অনুযায়ী পশু জবাই করার আগে গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার সনদ থাকা জরুরি। নিয়োজিত ভেটেরিনারি সার্জন কিংবা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তার কার্যালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকের এই সনদ দেওয়ার কথা। বাস্তবে এ কাজটি তদারকি নেই বলে জানান স্থানীয়রা।

স্থানীয়দের অভিযোগ, সনদ ছাড়া পশু জবাই করা হয়ে থাকে এখানে। নিয়ম নীতির তোয়াক্কা ছাড়াই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী ও নিয়োজিত চিকিৎসক এ কাজ দীর্ঘদিন থেকে করে আসতেছে।

মাংস কিনতে আসা একজনের সাথে কথা হয়, মাংস কিনেছি। কিন্তু সুস্থ নাকি অসুস্থ তা জানি না। সাধারণ ক্রেতারা উচ্চমূল্য দিয়েও ভেজালমুক্ত মাংস কেনা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ভোররাতে সবার অগোচরে গরু জবাই হয়। ফলে আমরা কী সুস্থ নাকি অসুস্থ, পশুর মাংস টাকা দিয়ে কিনে খাচ্ছি তা কেউই আমরা জানি না। গবাদি পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার ছাড়পত্র চিকিৎসক দিয়েছেন কি না-এমন প্রশ্নের জবাব নাই।
ভূল্লী বাজারে নিয়োজিত গ্রাম্য পশু চিকিৎসক আব্দুল হাকিম বলেন, আমি পরীক্ষা নিরিক্ষা ছাড়াই গরু জবাই করার অনুমতি দিয়েছি। এটি আমার ভুল হয়েছে। আমাকে ক্ষমা করে দিবেন।
এ বিষয়ে মাংস ব্যবসায়ী মজিবর রহমান এর সাথে যোগাযোগ করা হলে তাকে পাওয়া যায়নি।
এ বিষয়ে ৫ নং বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জুলফিকার আলী ভূট্টো বলেন, অসুস্থ গরু জবাই করার বিষয়টি আমি শুনেছি। যারা এটা করেছে তারা অন্যায় কাজ করেছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভূল্লী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) সাইফুল সরকার জানান, অসুস্থ গরু জবাই করার বিষয়টি শুনে তাৎক্ষনিক সেখানে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ যাওয়ার খবর শুনে তারা পালিয়ে গেছে। কেউ অভিযোগ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।