ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জে গমের বাম্পার ফলনে কৃষকের মুখে হাসি

এবার গমের বাম্পার ফলনে ঠাকুরগাঁওয়ের পীরগঞ্জ উপজেলার কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে। এ উপজেলার কৃষক-কৃষাণীরা এখন গম কাটা ও মাড়াইয়ে ব্যস্ত সময় পাড় করছেন। গম রবি শস্য হিসেবে ঋতু শেষ মাসের চৈত্রেই গম উঠে থাকে। ভাত-রুটি বাংলাদেশের প্রধান খাদ্য হলেও গম অন্যতম। বিদেশের মতো বর্তমানে ভাতের পাশাপাশি রুটির গুরুত্ব বাংলাদেশে অনেক।

সরেজমিন ঘুরে বসন্তের কোকিল কণ্ঠে কৃষকদের মনের আনন্দে গম কাটতে দেখা যায়। এ উপজেলার নাকাটি, বৈরচুনা, হাজীপুর, জাবরহাট ও চন্দরিয়া  গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে ব্যাপক হয়েছে গমের চাষ। গম চাষ করে কৃষকদের সংসারে এসেছে স্বচ্ছলতা।

অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে  জমিতে গম বীজ বপন করা হয়। ফাল্গুনের শেষে ও চৈত্র মাসের প্রথম দিকে গম কাটা ও মাড়াই শুরু হয়। যদিও অনেক জায়গায় এরই মধ্যে গম কাটা ও মাড়াই শুরু হয়েছে। গমের বীজ বপনের পর খুব বেশি সেচ দিতে হয় না। জমি চাষের সময় মাটির নিচে প্রয়োজন মতো জৈব সার ও চারা বড় হওয়ার কিছুদিন পরেই মাটির উপরে অংশে সামান্য ইউরিয়া সার প্রয়োগে ভালো ফলন পাওয়া যায়। ফলে গম চাষে খরচ হয় কম লাভবান হন কৃষকরা। এবছর ব্যাপক হারে গম চাষ করেছেন কৃষকরা।

উপজেলার ৭ নং হাজীপুর ইউনিয়নের একান্নপুর গ্রামের ইয়াছিন আলী  বলেন, এবার আমি ৪ একর জমিতে গমের চাষ করেছি। ফলনও ভালো হয়েছে। এবার  বিঘা প্রতি ২২-২৫ মণ গমের ফলন হয়েছে। জমিতে ধান,  গম সহ বিভিন্ন জাতের ফসল ফলিয়ে তিনি অনেক আনন্দিত। এতে অনেক কৃষক-কৃষাণীর ঘরে শান্তি এসেছে। উপজেলা নসিবগঞ্জ বাজারে গম প্রতি বস্তা দুই হাজার একশত থেকে দুই হাজার তিনশত বিক্রি করেছি। 

১১ নং বৈরচুনা ইউনিয়নের বৈরচুনা গ্রামের আরিফ ও বাতিয়া  জানান, বাতিয়া ২ একর ও আরিফ ৩ একর মাটিতে গমের চাষ করেছে। গতবারের চেয়ে এবার গমের সন্তোষজনক ফলন হয়েছে। কৃটনাশক ছাড়াই গমের ফলনে আমরা খুশি ও আনন্দিত।

্উপজেলার উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা মো. মিজানুর রহমান, ও মো. মাইদুল ইসলাম জানান, আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় গমের বাম্পার ফলন হয়েছে। চলতি মৌসুমে এবার ১০ হাজার হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে। এ উপজেলায় সবচেয়ে বেশি গম চাষ হয়ে থাকে। পলি পড়া জমিতে গম চাষের জন্য খুবই উপযোগী।