ঠাকুরগাঁওয়ে এবার কেজি দরে আনারস বিক্রি

রমজান মাস উপলক্ষে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যাদির সাথে দাম বেড়েছে মৌসুমি ফলের। সেই ধারাবাহিতায় ঠাকুরগাঁও জেলায় আনারস বিক্রি হচ্ছে ৭০ টাকা কেজি দরে, আর তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজিতে।

সরেজমিনে দেখাযাচ্ছে, ছোটো ছোটো আনরসগুলো ওজনে প্রায় ২ কেজি হচ্ছে। তাই একটি ছোটো আকারের আনারসের জন্যে গুনতে হবে ১৪০ টাকা। এদিকে মাঝারি আকারের একটি তরমুজ ৫/৬ কেজি হিসাবে ২৫০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনতে হচ্ছে।

দোকানিরা বলছেন, বেশিদামে কিনতে হচ্ছে বলে কেজিদরে বিক্রি করছি। দাম জিজ্ঞাসার সাথে সাথে ১৫০ টাকা একপিছ আনারস বা ৩০০ টাকা তরমুজের পিছ চাওয়া যায়না। বিষয়টি খারাপ দেখায়। ক্রেতারা দাম শুনেই চলেযায়। তাই কেজি দরে বিক্রি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।

প্রশাসনের নজরদারির অভাবে কেজিদরে আনরস ও তরমুজ কিনতে গিয়ে ঠকতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করছেন সাধারন ক্রেতারা।

বাজারে তরমুজ কিনতে আসা রাকিবুল হক বলেন, ছোটো একটি তরমুজ কিনতে চেয়েছি। বিক্রেতা একদাম ৫০ টাকা কেজি চাইলেন। ওজন করে দেখি ৫ কেজি হয়েছে। ওজন করানোর পর না নিলে খারপ দেখায়, তাই কিনতে হইলো।

আনারস কিনতে আসা সাকেরুল আহসান বলেন, আনারস এখন কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে, তাও আবার ৭০ টাকা। ইফতারে ফলমূল খাওয়ার অভ্যাস বাদ দিবো বলে ভাবছি। এখন ভয় হচ্ছে কবে থেকে যে কলাও কেজিদরে কিনতে হয়।

প্রশাসনের নজরদারি থাকলে বাজারে কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে বলে মনে করছেন ঠাকুরগাঁও হাজিপাড়ার বাসিন্দা রইসুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রথম রোজা থেকে বাজারে এসে ফল দেখে দেখে ঘুড়ে যেতে হচ্ছে। কেনার সাধ্য হয়নি। রমজান মাসে নিয়মিত বাজার মনিটরিং দরকার। তাহলে হয়তো কিছুটা স্বস্তি আসবে।

ঠাকুরগাঁও ভোক্তা সংরক্ষণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক শেখ সাদী জানান, আমরা নিয়মিত বাজার মনিটরিং করছি। দুরের বাজারগুলোতে একটু কম যাওয়া হচ্ছে। তরমুজ ও আনারসের বিষয়ে দ্রুতই ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।