ডাকটিকিটের বৈচিত্র্য আনতে মন্ত্রীর নির্দেশ

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেছেন, ডাকটিকিটের মাধ্যমে, ব্যক্তিত্ব, ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংস্কৃতি, জীবনবোধ, প্রত্নতাত্বিক বৈশিষ্ট্য তুলে ধরা হবে। ইতিহাসে অনেক বিখ্যাত জনের নাম অগোচরে থেকে যায়। ডাকটিকিটে বিখ্যাতজনের ছোট একটি কর্ম তুলে ধরতে পারলে নতুন প্রজন্ম তার ইতিহাস খুঁজে বের করবে। তিনি ডাকটিকিটের বৈচিত্র্য আনতে যথাযথ উদ্যোগ গ্রহণের জন্য ডাক অধিদপ্তরকে নির্দেশ প্রদান করেন।

মন্ত্রী বৃহস্পতিবার ঢাকায় ডাকভবনে বাংলাদেশ ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন আয়োজিত ‘বঙ্গবন্ধু ও বাংলাদেশ’ শীর্ষক শিশু কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মধ্যে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতাকালে এই নির্দেশনা প্রদান করেন।

মন্ত্রী বলেন, কিউআরকোডের মাধ্যমে প্রকাশিত ডাকটিকিটের সংক্ষিপ্ত বর্ণনা যাতে ডিজিটাল ডিভাইসে পড়া যায় সেই ব্যবস্থা করতে হবে। এতে ডাকটিকিটের গুরুত্ব বহুগুণ বেড়ে যাবে। তিনি বলেন, অদ্যাবধি প্রকাশিত ডাকটিকিট ধারাবাহিকভাবে পর্যবেক্ষণ করলে আর্কাইভে সংরক্ষিত তথ্যের চেয়ে বেশি তথ্য উঠে আসবে। মন্ত্রী জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষে প্রকাশিত শত ছবি সংবলিত ডাক অধিদপ্তর প্রকাশিত এলবামের মাধ্যমে ইতিহাসকে জীবন্ত করে তোলা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন।

ফিলাটেলিক এসোসিয়েশন অভ্ বাংলাদেশের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা হাবিবুল আলম বীর প্রতীকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সচিব মোঃ আফজাল হোসেন, ডাক অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মোঃ সিরাজ উদ্দিন এবং ফিলাটেলিক এসোসিয়েশনের সেক্রেটারি আনোয়ারুল কাদির বক্তৃতা করেন।

পরে মন্ত্রী এ উপলক্ষে একটি স্মারক ডাকটিকিট ও উদ্বোধনী খাম অবমুক্ত করেন।