ডাকাত কারা ভাড়া করেছে, লাইভে বললেন চমক

ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। থানায় হামলা ও পুলিশব্যবস্থা ভেঙে পড়ার পর ডাকাত আতঙ্কে সারাদেশের মানুষ। ট্রাফিক পুলিশ না থাকায় যান চলাচল নিয়ন্ত্রণ করছেন ছাত্ররা। রাত গভীর হতে শুরু করলে ছাত্রদের সঙ্গে থাকেন সাধারণ মানুষ। টিভি তারকারাও যোগ হয়েছেন সেই দলে। ডাকাত কারা ভাড়া করেছে সেটা এবার লাইভে এসে বললেন অভিনেত্রী চমক।

গতকাল গভীর রাতে ফেসবুকে লাইভ করেছেন অভিনেত্রী রুকাইয়া জাহান চমক। ২ মিনিট ২০ সেকেন্ডের ওই লাইভে বেশ ক্ষুব্ধ দেখা গেছে চমককে। চমককে বলতে শোনা যায়, ‘ক্যাপশন দেখে নিশ্চয়ই বুঝতে পারছেন আমি কী বলবো? আপনারা আর কত নিচে নামবেন? আমি আমার লাইভে বলেছি, উত্তরার বিভিন্ন জায়গায় ডাকাতি হচ্ছে! আর্মিরা এসেছেন এবং ডাকাতরা ধরাও পড়েছেন। আমরা সেফ।’

ডাকাতদের প্রতিহত করা প্রসঙ্গে চমক বলেন, ‘আর্মি আসার আগেই আমরা নিজ নিজ জায়গা থেকে দা-বটি নিয়ে ডাকাতদের রুখে দিয়েছি। আর্মিদের হট লাইনে পাচ্ছিলাম না। আমি লাইভ করার ২০ থেকে ২৫ মিনিটের মাথায় আর্মি চলে এসেছে। উই আর সেফ নাও।’

লাইভের মাঝামাঝি রাগত স্বরে চমককে বলতে শোনা যায়, ‘আপনারা কী কমেন্ট করছেন! স্বাধীনতা এনজয় করো, স্বাধীনতার ফল এটা!’ এসব মন্তব্যকারীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনাদের একটা ইনফরমেশন দিই, যে ডাকাতরা ধরা পড়েছে, তাদের কয়েকজন স্বীকারক্তি দিয়েছে যে, তাদের আওয়ামী লীগের পাতি নেতারা ভাড়া করেছে ডাকাতি করার জন্য, দেশে অরাজকতা সৃষ্টি করার জন্য।’

নেতিবাচক মন্তব্যকারীদের উদ্দেশে চমক আরও বলেন, ‘যারা নির্লজ্জের মতো এখানে এসব কমেন্ট করছেন, বলছেন আপনাদের নেত্রী ভেগে গেসে বলে দেশে অরাজকতা তৈরি হচ্ছে, ছাত্ররা আন্দোলন করেছে, ছাত্ররা এখন কোথায়, স্বাধীন দেশে স্বাধীনভাবে ডাকাতি করবে। এত নিচে নামেন কীভাবে আপনারা?’

লাইভের শেষের দিকে ১৯৭১ সালের স্বাধীনতা পরবর্তী পরিস্থিতির কথা মনে করিয়ে দেন চমক। তিনি বলেন, ‘আজ পুরো এলাকার প্রত্যেকটা মানুষ রাস্তায়। কেউ ঘুমাতে পারছে না। আমরা আগে থেকেই টহল দিচ্ছিলাম পুরো উত্তরাতে। আপনারা যারা হাসাহাসি করছেন, স্বাধীনতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছেন তাদের উদ্দেশে বলি, স্বাধীনতার পরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লেগেছিল। প্রশাসন সক্রিয় হতে, সবকিছু নিয়ন্ত্রণে নিতে সময় লাগে।’

অরাজক পরিস্থিতি তৈরি না করার আহ্বান জানিয়ে এই অভিনেত্রী বলেন, ‘এই ধরনের কথা না বলে, দেশে অরাজকতা তৈরি না করে, মানুষের জন্য থ্রেড না হয়ে, সবাই একসাথে দেশের জন্য কাজ করেন, প্লিজ। অনেক হয়েছে, থামেন এবার। প্রত্যেকেই আমাদের দেশের মানুষ। এগুলা সব আমাদের দেশের সম্পদ। আপনারা জাস্ট এগুলা নষ্ট করতেসেন বিভেদ সৃষ্টি করার জন্য? দলীয় কোন্দল করার জন্য?’