ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবিতে এসিসিই বিভাগের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (নোবিপ্রবি) ডিগ্রি পরিবর্তনের দাবিতে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছে এপ্লাইড কেমেস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলরার (২৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ইন এপ্লাইড কেমেস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং ইউথ ইকুয়ভেলেন্ট বিএসসি অনার্স ইন এপ্লাইড কেমেস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এর দাবিতে সংবাদ সম্মেলন এ বিভাগের শিক্ষার্থীরা বিষয়টি জানান।

এছাড়া ডিগ্রি পরিবর্তনের যৌক্তিক কারণ উল্লেখ করে গত ২৯ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করে এসিসিই বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

শিক্ষার্থীরা দাবি করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন শিক্ষার্থীদের স্মারকলিপি আমলে না নিয়ে স্বৈরাচারে সময়ে দেওয়া সিদ্ধান্তের উপর অটল থাকে এবং শিক্ষার্থীদের সাথে প্রহশন শুরু করেছে বলে সংবাদ সম্মেলন এ জানায়।এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে তারা ডিন, চেয়ারম্যান ও সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে বিভাগের ডিগ্রি পরিবর্তনে সহযোগিতা চেয়েছেন।

সংবাদ সম্মেলন এ এপ্লাইড কেমেস্ট্রি এন্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং (এসিসিই) বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী মেহেদী হাসান বলেন- আমাদের সিলেবাস পুরোপুরি বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ করে সাজানো হয়েছে, তবুও ডিগ্রির অসামঞ্জস্যতার কারণে আমাদের প্রাক্তন গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন চাকরির সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ও হচ্ছেন।

ইতিপূর্বে আমরা আমাদের সমস্যার কথা বিভাগে জানালে বিভাগ থেকে শুধু আশ্বাস দিচ্ছিল। গত চার মাস পূর্ব থেকে ডিগ্রি পরিবর্তনের যৌক্তিকতার সকল ডকুমেন্টস সহ আবেদন করলেও বাস্তবিক অর্থে কাজের কোনো অগ্রগতি আমরা দেখতে পাইনি এবং আমাদের দাবি টি প্রত্যাখ্যান করে। আমাদের যৌক্তিক দাবি পূরণ না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন সহ ধারাবাহিক কর্মসূচি পালন করব। দ্রুততম সময়ের মধ্যে আমাদের দাবি পূরণ না করলে আমরা কঠোর থেকে কঠোরতর কর্মসূচির দিকে যাবো।’

এছাড়াও এসিসিই বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী আব্দুর রহমান বলেন- আমরা সমাধানের কোনো অগ্রগতি দেখতে পাইনি। বিভাগের শিক্ষকগণ ও ডিন মহোদয় একাডেমিক কাউন্সিলের জন্য আমরা অপেক্ষা করেছি কিন্তু আমরা কাঙ্ক্ষিত ফল পাই নি। আমাদের ডিগ্রি পরিবর্তন না হওয়া পর্যন্ত আমরা কোনো ক্লাস-পরীক্ষা ও ল্যাবে অংশগ্রহণ করব না। এরপরেও বিষয়টি সমাধান না হলে আমরা আরও কঠোর থেকে কঠোরতম আন্দোলন করতে বাধ্য হবো।

এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড.মুহাম্মদ ইসমাইল বলেন-আমাদের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমরা তাদেরকে ইকুয়ভেলেন্ট সার্টিফিকেট দিবো।অন্যান্য তিন-চার বিশ্ববিদ্যালয় যেভাবে ইকুয়ভেলেন্ট সার্টিফিকেট দেয় ঠিক সেভাবে আমরা একটা ইকুয়ভেলেন্ট সার্টিফিকেটের ড্রাপট সম্পন্ন করেছি।আগামীকালের মধ্যে পাশ হবে।

আমি শিক্ষার্থীদের কে বলবো আন্দোলন এর কিছু নেই,আন্দোলন না করে ক্লাসে ফিরে যেতে।আমরা তাঁদের চাওয়া মতোই ইকুইভেলেন্ট সার্টিফিকেট দিবো।