ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন নিয়ে ইইউ’র গভীর উদ্বেগ
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন-২০১৮ জাতীয় সংসদে পাস হওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ)।
বৃহস্পতিবার ঢাকার ইউরোপীয় ইউনিয়ন অফিস থেকে পাঠানো এক যৌথ বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
ঢাকায় নিযুক্ত ইইউর প্রতিনিধি রেনেসা তিরিঙ্কসহ ১০টি দেশের হাইকমিশন এবং অ্যাম্বাসির প্রধানরা এই যৌথ বিবৃতি দেন।
যৌথ বিবৃতিতে জাতীয় সংসদে গত ১৯ সেপ্টেম্বর পাস হওয়া ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের বেশকিছু ধারা নিয়ে তাদের উদ্বেগ পুনর্ব্যক্ত করেছে ইইউ।
সেখানে বলা হয়, ‘ধারাগুলো বাকস্বাধীনতা এবং গণমাধ্যমের স্বাধীনতাকে বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি বিচারিক পদ্ধতিগত নিশ্চয়তাকেও ক্ষুণ্ণ করবে। বর্তমান অবস্থায় আইনটি এসব স্বাধীনতার প্রয়োগকে বাধাগ্রস্ত করার পাশাপাশি এই প্রয়োগকে অপরাধ হিসেবে প্রমাণ করতে পারবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত মে মাসে ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউর সময় গৃহীত প্রতিশ্রুতিগুলো অনুসরণের বিষয়ে বাংলাদেশ সরকার আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছে। এ কারণে মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্র, আন্তর্জাতিক চুক্তি অনুযায়ী নাগরিক ও রাজনৈতিক অধিকার এবং সর্বোপরি বাংলাদেশের সংবিধানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন করা উচিত।’
ওই যৌথ বিবৃতি আরও যারা স্বাক্ষর করেছেন তারা হলেন, ইতালির রাষ্ট্রদূত মারিও পালমা, আলভারো দ্য সালাস জিমেনেজ দ্য আজকারাতে, সুইডেনের রাষ্ট্রদূত শারলোটা স্লাইটার, ফ্রান্সের রাষ্ট্রদূত ম্যারি আন্নিক বোওরডিন, জার্মানির রাষ্ট্রদূত পিটার ফাহরেনহোল্জ, নেদারল্যান্ডসের রাষ্ট্রদূত হেরি ভারউইজি, ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত উইন্নি ইস্টার্প পিটারসন, যুক্তরাজ্যের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার ক্যানবার হোসেন বর, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত মিসেস সিডসেল ব্ল্যাকেন এবং সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রিনি হোলস্টেইন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন