বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়

ডিজিটাল বাংলাদেশের একটি মডেল হতে পারবে কি?

এইচ. এম নুর আলম : বর্তমান যুগ অধিক মাত্রায় ডিজিটালাইজড। হাতের নাগালেই সব তথ্য। ‘গুগলে’ সার্চ দিলেই প্রত্যাশিত তথ্য, বিনোদনের উপাদানসহ যাচিত সকল কিছুই চলে আসে। আর এসব সম্ভব হয়েছে তথ্য-প্রযুক্তির ক্রম বর্ধমান উন্নতি সাধনের ফলে। এখন গৃহস্থলি কাজকর্ম থেকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ পর্যায়ের কাজ তথ্য-প্রযুক্তির সাধনের ফলে সহজতর হচ্ছে। কৃষি থেকে শুরু করে সকল কিছুতেই ডিজিটাল যুগের ছোঁয়া লেগেছে। সকল প্রতিষ্ঠান এখন ডিজিটালাইজেশনের অবদান সাদরে গ্রহন করে অতিদ্রæত সামনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নতি হচ্ছে শিক্ষা ব্যবস্থার, জীবনযাত্রার এবং স্বাস্থ্যের মান।

কেউ পিছিয়ে নেই। আর পিছিয়ে থাকবার সময়ও নয় এটা। কিন্তু ডিজিটাল যুগের ডিজিটাল বাংলাদেশের তথ্য-প্রযুক্তির উন্নয়ন সাধনে কতটুকু এগিয়ে রয়েছে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়? – সেটা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে ভাববার বিষয়।

সাবেক উপাচার্য ড. আব্দুল জলির মিয়া (বর্তমানে কারাগারে) যতটুকু উদ্যোগ নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন তা প্রশংসনীয়। তবে তাঁর স্বজনপ্রীতি আর অনিয়মের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন বাধাগ্রস্ত হয়েছিলো। ৫ মে তিনি চলে যাওয়ার পর ৬ মে যোগদান করেন উপাচার্য ড. একে এম নূর-উন-নবী। কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের কতটুকু উন্নয়ন হয়েছে তা অনেকেই জানেন।শুধু ঢাকা যাওয়া আসা আর কাজের ‘প্রসেসিং চলছে’ শুনতে শুনতে চারটি বছর কেটে গেছে। শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম বা চাহিদার কতটুকু উন্নয়ন সাধন হয়েছে তা বলা মুশকিল। তবে তাঁর চার বছরে ক্যাফেটেরিয়াটাও উদ্বোধন করতে পারেন নাই।

আর্থিক এবং নিয়োগসংক্রান্ত অনিয়মের পাহাড় গড়েছেন। সেটা প্রমাণিত। ফলে সময় শেষ করে ভালোভাবে বিদায় নিয়ে যেতে পারেন নি। রাতের গভীরে লুকোচুরি করে যেতে হয়েছে। তবে একথা বাহুল্য নয় যে, তাঁদের দু’জন যাদেরকে সাথে নিয়ে কাজ করেছেন তারা শুধু নিজ স্বার্থই সংরক্ষণ করেছেন । ফলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের স্বার্থ সংরক্ষিত বা পূরণ হয়েছে ঠিকই কিন্তু উন্নয়ন হয়নি বিশ্ববিদ্যালয়ের। এর ফলে দুই উপাচার্যই অনিয়মের সুযোগ পেয়েছিলেন এবং একাধিকবার ক্যাম্পাসে বিপদের সম্মুখীনও হয়েছিলেন ।

বর্তমান উপাচার্য ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ (বিটিএফও) সব জেনেই গত ১৪ জুন যোগদান করেছেন এ বিশ্ববিদ্যালয়ে। তবে এ উপাচার্য কি পারবেন সকল সংকট থেকে বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিত্রাণ দিতে এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রতিশ্রæতিকে সামনে রেখে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি রোল মডেল হিসেবে বাংলাদেশ ও বিশ্বের দরবারে উপস্থাপণ করতে?

উপাচার্য যোগদান করেই লোকপ্রশাসন বিভাগের উদ্যোগে আয়োজিত অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি ‘সেন্টার অব অ্যাক্সিলেন্স’ রুপে গঠন করার প্রতিশ্রæতি দিয়েছিলেন। ‘সেন্টার অব অ্যাক্সিলেন্স’ করতে হলে অবশ্যই চার বছর মেয়াদী একটি মাস্টার প্লান বা সুন্দর পরিকল্পনা করতে হবে।

এর মধ্যে যেগুলো উপস্থিত থাকতে হবে সেগুলো হলো: বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় তিন বছরের সেশনজট দূরকরণে প্রচেষ্টা চালানো, প্রত্যেক শিক্ষার্থীকে ইন্টানেটের সংযুক্তিতে আনতে হবে অর্থাৎ ক্যাম্পাসে সকলেই শক্তিশালী দ্রæতগতিসম্পন্ন নেটের আওতায় নিয়ে আসতে হবে, সাইবার সেন্টারের উন্নয়ন সাধন করতে হবে, তথ্য-প্রযুক্তিসমৃদ্ধ লাইব্রেরি গড়ে তুলতে হবে, বিশেষ করে শিক্ষার্থীদের শিক্ষাকার্যক্রম উন্নয়ন করতে সকল বিভাগের সংশ্লিষ্ট বইয়ের ব্যবস্থা করতে হবে, ল্যাবসমৃদ্ধ এবং সেমিনারসমৃদ্ধ বিভাগ গড়ে তুলতে হবে, শিক্ষার্থীদের ঝামেলা এবং ভোগান্তি কমাতে সেমিস্টারের ফলাফল, ফরম ফিল আপ, ভর্তি প্রক্রিয়া অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে সম্পন্নের কার্যকর উদ্যোগ নিতে হবে। বেহাল দশা থেকে মুক্তি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটের সকল ধরণের উন্নয়ন সাধন করতে হবে, হালনাগাদ এবং প্রতিটি বিভাগ, কার্যক্রম ও সেকটরের বিষয়ভিত্তিক তথ্য সংযোজন করতে হবে। সেশনজটকে মুক্ত করতে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ, ফরম ফিল আপ, ভর্তি এবং বিভাগগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে শিক্ষক নিয়োগ দিতে হবে।

প্রক্রিয়ারত ক্যাম্পাস রেডিও দ্রæত চালু করতে হবে। ছাত্র সংসদ নির্বাচনের ব্যবস্থা করতে হবে, পরিবহণ সংখ্যা এবং রুট এবং দুরত্ব বাড়াতে হবে। শিক্ষার্থীদের ভর্তি ও ফরম ফিল আপ এর ভোগান্তি লাঘবে একটি স্থায়ী ব্যাংক শাখার উদ্বোধন করতে হবে, উন্নতমানের ক্যাফেটেরিয়া উপহার দিতে হবে যতদ্রæত সম্ভব। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্লান অনুযায়ী, পর্যাপ্ত একাডেমিক ভবন, আবাসিক হল, অডিটরিয়াম, জিমনোসিয়াম, টিএসসি নির্মাণ করতে হবে। নির্মানাধীন ড. ওয়াজেদ রিসার্চ গবেষণা ইনস্টিটিউড কে সর্বাধুনিক করতে হবে, যেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তারা সফল গবেষণা করতে পারেন-সেটা নিয়ে ভাবতে হবে। হলগুলোর আবাসিক সংকট দূর করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়কে নিয়মতান্ত্রিকভাবে চালিয়ে উন্নয়নের পথে নিয়ে যেতে হলে সংবিধি-প্রবিধি তৈার করতে হবে। সকল দপ্তরের ক্ষমতা বা সঠিক দায়িত্বের ভার স্ব স্ব বিভাগগুলোকে প্রদান করতে হবে সঠিকভাবে তাদের কাজ করার জন্য।

বিশ্ববিদ্যালয়কে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক জনবল নিযোগ করতে হবে, একাডেমিক ভবনগুলোতে প্রয়োজনীয় জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং কাজে লাগাতে হবে। ক্যাম্পাসে নির্দিষ্ট সংখ্যক নলকুপ স্থাপন করতে হবে এবং স্থানে স্থানে ডাস্টবিনের ব্যবস্থা করতে হবে।

যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের সংশ্লিষ্ট বিষয়ে কাজ করে বা উদ্যোগ গ্রহণ করে সে তত বেশি শিক্ষার্থীবান্ধব। সেজন্য শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের সংশ্লিষ্টদের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ্য থেকে একটি ‘ফেসবুক পেজ’ খুলতে হবে এবং সমস্যা-সম্ভাবনা তুলে ধরার সুযোগ দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তরকে কার্যক্ষম করে গড়ে তুলতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের শূন্য পদগুলো পূরণে নিয়মতান্ত্রিকভাবে গুণসম্পন্ন এবং দায়িত্বসম্পন্ন ব্যক্তিদের নিয়োগ বা দায়িত্ব প্রদানের ব্যবস্থা করতে হবে । অপরাধ দমনে বিশ্ববিদ্যালয়ে সর্ট সার্কিট (সিসি) ক্যামেরা স্থাপন করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশ কিছু ভৌতগত অবকাঠামোর স্ট্রাকচার পরিবর্তন করে আধুনিকায়ন করতে হবে। সুন্দর এবং আকর্ষনীয় তোরণ নির্মাণ জরুরী, কারণ এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের উজ্জ্বল ভাবমূর্তি বহন করে।

বিশ্ববিদ্যালয়কে ‘ওয়াইফাই’য়ের আওতাভুক্ত করতে হবে, লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করে বড় আয়তনের জায়গায় এমনভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝ বরাবর পুন:নির্মাণ করা যাতে সকল শিক্ষার্থী সমানভাবে লাইব্রেরিতে যেতে পারে জ্ঞানার্জনের জন্য। সকাল ৮ টা থেকে রাত ৯ টা পর্যন্ত লাইব্রেরি খোলা রাখার ব্যবস্থা করতে হবে, অন্তত আরো কয়েকটি হল নির্মাণ করতে হবে, হলগুলোর ব্যবস্থাপনায় শিক্ষার্থীদের পর্যাপ্ত শিক্ষা, শারীরিক চর্চার ব্যায়ামাগার, হল ভর্তুকিসহ ইত্যাদির সুবিধা রাখতে হবে।

দৃষ্টিনন্দন সুন্দর ক্যাম্পাস গড়তে হলে পরিকল্পিত বনায়নের বিকল্প নেই। দেশীয় সংস্কৃতি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবেশের সাথে সামঞ্জস্য রেখে বেশ কিছু সমারক নির্মাণের পরিকল্পনা করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল সেন্টারের জন্য স্বতন্ত্র ভবন নির্মাণ করতে: পর্যাপ্ত জনবল নিয়োগ দিতে হবে এবং পর্যাপ্ত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিশ্চিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাব মূর্তি অক্ষুন্ন রাখতে বর্তমান ‘লোগো’কে পরিবর্তন করে উন্নত ‘লোগো’ উপহার দিতে হবে।

অবশ্যই এ জন্যে শিক্ষক-শিক্ষার্থী-কর্মকর্তা-কর্মচারিদের মধ্যে হৃদ্যতাপূর্ণ সম্পর্ক ঠিক রাখতে মাঝে মাঝে কাউন্সিলিং করতে হবে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্যক্রম তুলে ধরতে মুখপাত্র হিসেবে মাসিক বা সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন চালু রাখতে হবে ।

অনুষদভিত্তিক ভবন স্থাপন করে প্রতিটি বিভাগকে রাষ্ট্রের বা দেশের উন্নয়নে তথ্য-প্রযুক্তি দিয়ে নতুন কিছু উদ্ভাবনে ক্ষমতা তৈরি করতে পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা যেমন পর্যাপ্ত ক্লাসরুম, গ্রন্থাগারে প্রয়োজনীয় বই, ল্যাব ইত্যাদির ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষকরা যেন উচ্চ শিক্ষা বা ডিগ্রী অর্জন করে তাঁদের দক্ষতা, মেধা দিয়ে শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে কাজে লাগাতে পারে সেজন্য ব্যবস্থা থাকতে হবে।
সম্প্রতি উদ্বোধন করা ‘ড্রোন’ নিয়ে বিতর্ক চলছে বিশ্ববিদ্যালয় জুড়ে। এটি কী কাজে ব্যবহার করা হবে সেটা জানা যায়নি। ক্যাম্পাস পর্যবেক্ষণে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ‘রোবট’ আনারও সিদ্ধান্ত শোনা গেছে। যেখানে হলগুলোতে ভর্তুকি ছাড়া শিক্ষার্থীদের কষ্ট করে থাকতে হচ্ছে, পর্যাপ্ত ক্লাসরুম না থাকায় সময়মতো ক্লাস নিতে পারছেন না শিক্ষকরা, যেখানে ২/৩ বছরের সেশনজটের যাতাকলে শিক্ষার্থীদের জীবন পিষ্ঠ, যেখানে এখনও কর্মচারিদের আপগ্রেডেশন-প্রমোশনের জন্য অসহায় জীবনের প্রতিটি প্রহর কাটছে অবর্ণনীয় কষ্টে, সেখানে ‘ড্রোন’ আর ‘রোবট’ আনার সিদ্ধান্তটা বিলাসিতার বৈকি কিছু নয়। মৌলিক চাহিদা পূরণ করে এসব আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে বিশ্ববিদ্যালয় ডিজিটাল যুগের মডেল হতে এক ধাপ এগিয়ে যেতে পারে তবে বিদ্যমান এবং চলমান সমস্যা এবং শিক্ষার্থীদেও চাহিদা পূরণে অবশ্যই নজর দিতে হবে।

বিশ্ববিদ্যালয়টি সাবেক তত্ত¡াবধায়ক সরকার ফখরুদ্দীন এর সময়ে ২০০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত। জানা যায়, এ সময় ভবনগুলোর কাজের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিলো মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর, রংপুর ও ঢাকাকে। ফলে ভবনগুলো স্কুল-কলেজগুলোর ভবনের মতো তৈরি করায় তা দৃষ্টিনন্দিত হয় নি। বর্তমান ভবন নির্মাণে আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন যেন হয় সেদিকে মনোযোগ দিতে হবে।

বর্তমান উপাচার্য মিডিয়াবান্ধব একজন ব্যক্তিত্ব এবং শিক্ষানুরাগী। তিনিও একটি বিভাগে ক্লাস নেন। আট বছরের বিশ্ববিদ্যালয়ে হয়তো বর্তমান উপাচার্যের সময়ে উপর্যুক্ত সব বিষয়ের কাজ করা সম্ভব নয় । উন্নয়নমূলক কাজ করতে গিয়ে তিনি যেন সাবেক দুই উপাচার্যের বিস্তার করা অনিয়মের মধ্যে না পড়েন সেটা অবশ্যই উপাচার্যকে মনে রাখতে হবে। মনে রাখতে হবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকদের দুটি সংগঠন রয়েছে। এছাড়ায় ক্ষমতাশালী আরো সংগঠন রয়েছে। সুতরাং তাঁদের ক্ষোভের বা রাজনৈতিক শিকার হতে যেন না হয়।

তবে আমাদের প্রত্যাশা, অবশ্যই তিনি উপর্যুক্ত বিষয়গুলো পূরণে যথাসাধ্য চেষ্টা করে যাবেন এবং যতটুকু কাজ করা সম্ভব সেগুলো তাঁর সময়ে করবেন । সর্বোপরি ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার প্রত্যয়ের অংশ হিসেবে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় দেশের একটি মডেল বিশ্ববিদ্যালয় হয়ে উঠুক- এর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মহামান্য রাষ্ট্রপতি এবং দেশের মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সুদৃষ্টি কামনা করছি।


লেখক: শিক্ষার্থী, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর।