ডিমলায় ট্যাবলেট কম্পিউটার এ্যাপসের মাধ্যমে শিশুদের পাঠদান দিচ্ছে রিড প্রকল্প
হামিদা আক্তার, নীলফামারী থেকে : ”তোমরা আমাকে একজন শিক্ষিত মা দাও, আমি তোমাদের একটি শিক্ষিত জাতি উপহার দিবো”। ন্যাপোলিয়ান এর এই উক্তিটিকে সামনে রেখেই রিড প্রকল্পের মাধ্যমে গ্রামীণ জনগোষ্ঠীর অবহেলিত দরিদ্র ঝড়ে পড়া শিশুদের মাঝে পাঠদান কর্মসূচী চালিয়ে যাচ্ছে আরডিআরএস-বাংলাদেশ। সংস্থাটি মনে করেন ”শিক্ষাই জাতীর মেরুদন্ড” শিক্ষা ছাড়া যেমন কোন জাতী কখনও উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছাতে পারে না। তেমন মেরুদন্ডহীন জাতি কখনও মাথা উঁচু করে দাঁড়াতেও পারে না। শিক্ষার ভিত প্রাথমিক স্তরেই। এ জন্য শিশুদের প্রারম্ভিক পর্যায় মজবুদ করণে প্রথম শ্রেণী থেকে তৃতীয় শ্রেণীর শিশুদের ভাষাগত দক্ষতা ও পুস্তক পঠনের সামর্থ্য উন্নয়ন খুবই জরুরী।
বে-সরকারী সংস্থাআরডিআরএস-বাংলাদেশের পরিচালনায় আইরেক্স’র অর্থায়নে সেভ দ্যা চিলড্রেনের কারিগরি সহায়তায় রিড প্রকল্পের মাধ্যমে নীলফামারীর ডিমলায় ৭২টি স্কুলে প্রাথমিক পর্যায়ের প্রকল্পের মূলনীতি শিশুদের বর্ণজ্ঞান, শব্দজ্ঞান, ধ্বনিগত সচেতনতা, সাবলীলতা ও বোধগম্যতা বৃদ্ধিতে কাজ করে যাচ্ছে। রিড প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের ২০টি পাঠাগার পরিচালনা করে আসছে সংস্থাটি। তারই ধারাবাহিকতায় নীলফামারীর ডিমলা উপজেলায় জনকল্যাণ সংস্থায় একটি পাঠাগার পরিচালনা করছেন। অল্প কিছু দিনেই ডিমলা জনকল্যাণ সংস্থা পাঠাগারটি শিশুদের মেধা বিকাশে ও ভাষাগত দক্ষতা অর্জনে এলাকায় দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। পাঠাগারটির শিক্ষার আলো ছড়িয়ে পড়ছে দিক-বিদিক। পাঠাগারের এড়িয়ায় স্থানীয় ও এলাকার ৩ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিশুরা নিয়োমিত এসে বিনামূল্যে শিক্ষা অর্জন করছে এখানে। কার্যক্রমের আওতায় প্রকল্পের মাধ্যমে সরবরাহকৃত ট্যাবলেট কম্পিউটার এ্যাপসের মাধ্যমে শিশুদের মেধা বিকাশে পাঠদান দেয়া হচ্ছে। এসব কমলমতি শিশুরা ট্যাবলেটা কম্পিউটারের মাধ্যমে ছড়া গান, কবিতা আবৃতি, অক্ষর জ্ঞানসহ নানা মূখী শিক্ষা অর্জনে সক্ষম হচ্ছে প্রাথমিক পর্যায়ের শিশুরা। পাঠাগারটিতে প্রায় পাঁচ শতাধিক প্রথম থেকে দ্বাদশ শ্রেণী পর্যন্ত পড়–য়া শিক্ষার্থীরা নিয়োমিত পাঠাগাড়ে এসে পাঠ্যাভাস গড়ে তুলছে।
পাঠাগারের শিক্ষক কাম লাইব্রেরীয়ান গৌতম কুমার রায় বলেন, প্রাথমিক পর্যায়ের এই শিশুদের আনন্দ ঘন পরিবেশে ট্যাবে শব্দ ও বর্ণ শেখানো হচ্ছে। এতে করে শিশুদের উচ্চারণ ও পঠন ক্ষমতা বৃদ্ধি পাচ্ছে। রিড প্রকল্পের টেকনিক্যাল অফিসার জহুরুল হক বলেন শিশুর দক্ষতা বৃদ্ধি ও বাড়ীতেই শিশুর মেধা বিকাশে সহায়তা করতে পারেন একমাত্র মা। ফলে মায়েদের নানা মূখী প্রশিক্ষনের মাধ্যমে সচেতন করে গড়ে তোলা হচ্ছে। প্রতি তিন একদিন করে পাঠাগারে মা ও অভিভাবক সমাবেশের আয়োজন করা হয় পাঠাগার চত্তরে। মা ও অভিভাবত সমাবেশে পৃথক পৃথক সেশনে আলোচনার মাধ্যমে শিশুদের মা ও অভিভাবকদের দক্ষতা বৃদ্ধিতে কাজ করছে প্রকল্পটি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন