ডিমলায় নকল সারখানার ভেজাল সার, ভূট্টা ও ধান বীজের গোডাউন সিলগালা
হামিদা আক্তার, নীলফামারী থেকে : ২৬ নভেম্বর রোববার সন্ধায় নীলফামারীর ডিমলায় মোবাইল কোর্ট এর নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাজমুন নাহার উপজেলার ডাঙ্গারহাটে একটি নকল সারখানার ভেজাল সার, ভূট্টা ও ধান বীজের গোডাউনে অভিযান চালিয়ে প্রায় লাখ লাখ টাকার মালামাল এবং ২টি গোডাউন সিলগালা করেছেন ভ্রাম্যমান আদালত। এ সময় ঐ নকল সারের গোডাউন ও কারখানার মালিক মোশারফ হোসেন এবং এসব নকল ভেজাল সারের ব্যবসায়ী হাসনাত কবীর স্বপন ও রানা ইসলাম পালিয়ে যায়। ডুলো চুন, ইটের গুড়া, পাথরের গুড়া, বালু, চালের গুড়াসহ নানা ধরনের ভেজাল উপদান মিশিয়ে যুমনা এগ্রো মার্কেটিং, মেঘনা ফার্টিলাইজার কোং, এগ্রো ভিলেজ বিডি লি: ও এসিআইসহ প্রায় অর্ধ-শতাধিক নামীদামী কোম্পানীর প্যাকেটে এসব ভেজাল সার, ধান ও ভূট্টা বীজ প্যাকেটজাত করে চড়া দামে বাজারে বিক্রি করে আসছিলো দীর্ঘদির ধরে। ভ্রাম্যমান আদালতের অভিযানের সময় শতশত উৎসুক জনতা ভীর করে ভেজাল ও নকল সারের গোডাউনের পার্শ্বে। নাম প্রকাশে বেশ কিছু কৃষক বলেন দীর্ঘদিন ধরে এসব নকল ও ভেজাল সার প্যাকেট জাত করে দরিদ্র ও অসহায় কৃষককে ধোকা দিয়ে দীর্ঘদির ধরে এ ভেজাল ব্যবসা করে টাকার পাহার তৈরী করেছে অসাধু ব্যবসায়ী ও সারকারখানা এবং গোডাউনের মালিক মোশারফ হোসেন। এলাকাবাসীদের অভিযোগ ঐ গোডাউন ও কারখানার মালিক ঢাকায় অবস্থান করলেও তিনি তার ভাতিজা এনামুল হক ও চাবুল মেম্বারের পুত্র রাসেল, রানা ও স্বপনের মাধ্যমে মানুষের চোখের আড়ালে এ অবৈধ ব্যবসা করে আসছিলো। এসব ভেজাল ও নকল সার ও বীজ ক্রয় করে প্রতারিত হয়েছে হাজার হাজার কৃষক। আর্থিক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা। তাই তারা এসব অবৈধ ব্যবসায়ী ও অসাধু কারখানার মালিকদের দৃষ্টান্ত মূলক শাস্তি দাবী করেন। এব্যাপাওে জনৈক্য মোশারফ হোসেনের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি এ অবৈধ ব্যবসার কথা অস্বীকার করে বলেন, আমি জমি ও ঘরের মালিক এ কথা সত্য কিন্তু আমি এ ব্যাসার সাথে জড়িত নই। আমার ভাতিজারা জায়গা ও গোডাউন ভারা নিয়ে ব্যবসা করতো। আমি এর বাইরে কিছু জানি না। অভিযুক্ত রানা ও স্বপনের সাথে যোগাযোগ করে মন্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।
বালাপাড়া ইউপি চেয়ারম্যান জহুরুল হক ভূঁইয়া, কৃষি সম্প্রসারণ অফিসার তপন কুমার রায়,উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা এএসএম শহীন রেজা ও ডিমলা থানা পুলিশের উপস্থিতিতে মোবাইল কোর্টের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট এসব নকল সার, ধান ও ভূট্টা বীজের গোডাউন ২টি সিলগালা করেন এবং মালামালগুলি জব্দ করে থানায় জমা করেন আলামত হিসেবে। এ সময় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ম্যাজিষ্ট্রেট নাজমুন নাহার বলেন, নকল সার কারখানায় এসব ভেজাল সার, ধান ও ভূট্টাবীজের প্যাকেজিং চলছিলো। অভিযান চালিয়ে কারখানার মালামাল জব্দ করে গোডাউন সিলগালা করা হয়েছে। এ ঘটনায় দোষীদের বিরুদ্ধে নিয়োমিত মামলা করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন