ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধের লক্ষ্যে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত

বুধবার (১৯ জুলাই) এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত অন্যান্য রোগ প্রতিরোধে গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনার লক্ষ্যে এক আন্তঃমন্ত্রণালয় সভা অনুষ্ঠিত হয়।

এ সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম।

দেশে বর্তমানে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী এবং মৃতের সংখ্যা বাড়ার পরিপ্রেক্ষিতে জরুরি ভিত্তিতে এ আন্তঃমন্ত্রণালয় সভার আয়োজন করা হয়। এই সভায় সিটি কর্পোরেশনগুলোর পক্ষ থেকে মশক নিধনে বিগত সময়ে গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ, আক্রান্ত ডেঙ্গু রোগীদের চিকিৎসা সেবা পরিস্থিতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী এ সময় ডেঙ্গুর লার্ভা পাওয়ার পরও যে সব সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান এবং বাসা বাড়ির লোকজন সচেতন হননি, সরেজমিনে গিয়ে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিতে মেয়রদের নির্দেশনা প্রদান করেন।

তিনি বলেন, কয়েকবার সতর্ক করার পরও যে সব বাসা-বাড়ি এবং সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে তাদের পানির লাইনসহ সব ধরনের ইউলিটির লাইন কেটে দেওয়ার মত কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
মোঃ তাজুল ইসলাম বলেন, যেসব সরকারি প্রতিষ্ঠানে এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গিয়েছে তাদের নাম গণমাধ্যমে প্রকাশ করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে। তিনি এ বিষয়ে সবাইকে আরো সচেতন ও সতর্ক হওয়ার আহবান জানান।

মন্ত্রী বলেন, নির্মানাধীন ভবনও মশা জন্মানোর জায়গা। এসব নির্মানাধীন ভবনের মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। এরপর না শুনলে জরিমানা, আইনগত ব্যবস্থা এবং সর্বশেষে এসব ভবনের নির্মাণ কাজ বন্ধ থাকবে।

স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ভারতসহ মালেশিয়া, ফিলিপাইন এবং সিংগাপুরের থেকে বাংলাদেশের ডেঙ্গু পরিস্থিতি ভালো আছে। পরিস্থিতি ভয়াবহতার দিকে যায়নি। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোকে এ ব্যাপারে আরও কঠোর নজরদারি বাড়াতে নির্দেশনা দেওয়ার জন্যই আজকের এই সভার আয়োজন করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

তাজুল ইসলাম ডেঙ্গু আক্রান্তদের বাসায় না থেকে হাসপাতালে ভর্তি হওয়ার আহবান জানিয়ে বরেন, সব সরকারি হাসপাতালে সীটের সংখ্যা বাড়ানো হয়েছে। মন্ত্রী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ডেঙ্গু প্রতিরোধে ছাত্রছাত্রীদের সচেতন করার উপরও গুরুত্ব আরোপ করেন। এছাড়াও, এ সভায় বিটিআরসির মাধ্যমে সকল মোবাইল গ্রাহকের কাছে ডেঙ্গু সচেতনতামূলক মেসেজ পাঠানোরও সিদ্ধন্ত নেওয়া হয়।

সভায় উপস্থিত ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোঃ আতিকুল ইসলাম এ সময় জানান, গত ১১ দিনে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের বিভিন্ন এলাকায় মশার লার্ভা পাওয়ায় বিভিন্ন বাসা বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানকে ১ কোটি ১ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী, স্থানীয় সরকার বিভাগের সচিব মুহম্মদ ইবরাহিম, ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ সেলিম রেজা, ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ মিজানুর রহমান এবং স্থানীয় সরকার বিভাগের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এ সভায় উপস্থিত ছিলেন।