ডেঙ্গু ঠেকাতে মশা মারার কার্যক্রম সারা বছরই করতে হবে : স্বাস্থ্যমন্ত্রী
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘গত কয়েক বছরের তুলনায় এবছর ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী ও মৃত্যু অনেক বেশি। আরো চিন্তার কথা, ঢাকার চেয়ে এখন ঢাকার বাইরে আক্রান্ত বেশি। এই আক্রান্ত ঠেকাতে হলে মশা জন্মানোর আগেই লার্ভা মারতে হবে। এই লার্ভা মারতে সারা বছরই কাজ করতে হবে এবং যে ওষুধে মশা মরে সেই ওষুধ ব্যবহার করতে হবে।’
সোমবার (৪ সেপ্টেম্বর) স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে চায়নার সিনোভ্যাক বায়োটেক কর্তৃক ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট গ্রহণ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
প্রতিনিয়ত ডেঙ্গু আক্রান্ত ও মৃত্যু প্রসঙ্গে স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। এবছর অধিক হারে বাড়ছে। এজন্য আমাদের একযোগে কাজ করতে হবে। করোনা যেভাবে আমরা মোকাবিলা করেছি, সেভাবে কোন রকম ভেদাভেদ না রেখে, কাউকে দোষারোপ না করে, সকলে মিলে একসাথে ডেঙ্গু প্রতিরোধে কাজ করতে হবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু রোগ চিকিৎসায় যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এখন পর্যন্ত রোগীর তুলনায় বেড সংখ্যা বেশি প্রস্তুত রয়েছে। টেস্টিং কিট এবং স্যালাইনের কোন রকম ঘাটতি নেই। তবে, আরো বেড়ে গেলে তখন সমস্যা হবে। এজন্য এখনই একযোগে ডেঙ্গু প্রতিরোধ করতে হবে।
সভায় চীনের সাইনোভ্যাক বায়োটেক থেকে ২০ হাজার ডেঙ্গু টেস্টিং কিট স্বাস্থ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দেন চায়না অ্যাম্বাসির কালচারাল অফিসের প্রথম সচিব Lang Lang, সাইনোভ্যাক বায়োটেক কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক Qichao Zhong এবং একই কোম্পানির চিফ বিজনেস ডিরেক্টর Betty Lee ।
সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মুঃ আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আবুল বাশার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) সাইদুর রহমানসহ অন্যান্য ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন