ড্রামের নামে টাকা আত্মসাৎ : অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত আশিষ মজুমদার

পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলায় বৃষ্টির পানি সংরক্ষণের মাধ্যমে পানি সরবরাহ প্রকল্পের আওতায় ৩ হাজার লিটার বৃষ্টির পানি ধারন ক্ষমতার পানির ট্যাংক (ড্রাম) উপকারভোগীদের পাইয়ে দেওয়ার নামে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিয়েছে জনস্বাস্থ্য অফিসের মেকানিক আশিষ মজুমদার।
এ বিষয়ে গত ৭ অক্টোবর মঠবাড়িয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর লিখিত অভিযোগের পর থেকে অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছেন তিনি।
জানা গেছে,মেকানিক আশিষ মজুমদার পূর্বের কর্মস্থল থেকে শাস্তিমূলক বদলি হয়ে মঠবাড়িয়া জনস্বাস্থ্য অফিসে যোগদান করেই ড্রাম বানিজ্যে জড়িয়ে পড়েন।একটি ড্রামের বিপরীতে ৫ হাজার টাকা এবং একটি ডীপ টিউবওয়েলের বিপরীতে ২৫ হাজার টাকা করে কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বিভিন্ন সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নির্মাণাধীন ওয়াশ ব্লকের কাজ তদারকি করতে গিয়ে শিক্ষকদের সাথে সখ্যতা গড়ে তোলেন ওই মেকানিক।এসব শিক্ষকদের এক মাসের মধ্যেই ড্রাম দেওয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেন ওই মেকানিক।কিন্তু মাসের পর মাস পার হয়ে গেলেও ড্রাম দিতে না পারায় কর্মস্থলে অনিয়মিত হয়ে কিছুটা গাঁ ঢাকা দিয়ে চলেন তিনি।বিষয়টি জানাজানির পর বর্তমানে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
৩০ নং বড়শৌলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক (ভারপ্রাপ্ত) মিজানুর রহমান জানান,মেকানিক আশিষ ড্রামের কথা বলে আমার৷ নিকট থেকে ১৫ হাজার এবং জসিম নামে অন্য একটি বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকের নিকট থেকে ১৫ হাজার টাকা নিয়েছে।
শহীদুল ইসলাম নামে একজন শিক্ষক জানান,ওই মেকানিক আমাদের স্কুলে এসে আমার কাছে ড্রাম ও টিউবওয়েল নেওয়ার মত লোক আছে কিনা জানতে চায়।আমি নিজাম উদ্দিন নামে একজনের সাথে তাকে পরিচয় করিয়ে দেই। ড্রাম দেওয়ার কথা বলে তার নিকট থেকে ৬ মাস আগে ৫ হাজার টাকা নিয়েছে আশিষ মজুমদার। কিন্তু ড্রাম দিতে পারে নাই।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন ভুক্তভোগী নারী জানান,মেকানিক আশিষ চাকরির পাশাপাশি আমার বোনের মেয়েকে প্রাইভেট পড়াতো।একপর্যায়ে আমার ও আমার বোনকে ২টি ড্রাম দেওয়ার কথা বলে ১০ হাজার টাকা নিয়েছে।এ পর্যন্ত ড্রাম এবং টাকা কোনটিই পাইনি।বিষয়টি উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে জানিয়েছি।
এ ব্যাপারে মঠবাড়িয়া উপজেলা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অফিসের সহকারী প্রকৌশলী আব্দুস সাত্তার লিটন জানান,মেকানিক আশিষ মজুমদার অনুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে অনুপস্থিত রয়েছে। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি লিখিতভাবে জানানো হয়েছে।
পিরোজপুর জেলা জনস্বাস্থ্যের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত সরকার জানান, বরিশাল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলীকে বিষয়টি অবগত করা হবে।তিনি যেহেতু নিয়োগ কর্মকর্তা।সেক্ষেত্রে তিনিই যথাযথ পদক্ষেপ নিতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার আব্দুল কাইয়ুম জানান, এ ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন