ড. মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান আজ
এটিএন বাংলার চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট মিডিয়া ব্যক্তিত্ব ড. মাহফুজুর রহমানের এক সংগীতানুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়ে যাচ্ছে আজ শুক্রবার (৭ জুন)। ঈদের তৃতীয় দিন রাত ১০টা ৩০ মিনিটে প্রচার হবে মাহফুজুর রহমানের একক সংগীতানুষ্ঠান।
এবারে তিনি ১০টি গান গাইবেন ‘মন থেকে রইলো শুভ কামনা’ নামের সংগীতানুষ্ঠানে। গানগুলোতে সুরারোপ করেছেন মান্নান মোহাম্মদ ও রাজেশ ঘোষ। গানের কথা লিখেছেন প্রদীপ সাহা, শেখ রেজা শানু, মোহাম্ম ইকবাল হোসেন, নাজমা মোহাম্মদ এবং রাজেশ ঘোষ।
মাহফুজুর রহমানের গাওয়া গানগুলো হলো- ভুলে গেলে তুমি, মনের কারাগারে, শত চেষ্টাতেও, যে ক্ষতি, দেখছি যতই, আমার পৃথিবী, ফিরে এসো, চাঁদ মুখ, কোথায় হারালে এবং তুমি এক পা বাড়ালে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশে বেসরকারি স্যাটেলাইট চ্যানেলের প্রবক্তা তিনি। তিনিই প্রথম এদেশে স্যাটেলাইটভিত্তিক টিভি চ্যানেল এটিএন বাংলা চালু করেন। তাই মিডিয়াঙ্গনে ড. মাহফুজুর রহমান সর্বজন শ্রদ্ধেয়।
বিভিন্ন সময় নানা রকম মন্তব্যের জন্য সমালোচনা ও বিতর্কের জন্ম দিয়েছেন তিনি। পাশাপাশি ২০১৬ সালের কোরবানি ঈদে গায়ক হিসেবে হাজির হয়ে হৈ চৈ ফেলে দেন সারাদেশে। হাট, ঘাট, মাঠ, সর্বত্রই ছিলো মাহফুজুর রহমানকে নিয়ে আলোচনা।
১০টি গান নিয়ে তার একক সংগীতানুষ্ঠানটি সেই ঈদের সবেচেয়ে জনপ্রিয় অনুষ্ঠানের স্থান দখল করে নেয়। সেই শুরু, এখনো গান করছেন মাহফুজুর রহমান। তার বেসুরো গায়কী নিয়ে অনেক সমালোচনা ও বিতর্ক চললেও দমে যাননি তিনি। গান করে চলেছেন নিয়মিতভাবেই।
ফেসবুকসহ সামাজিক মাধ্যমগুলোতে সমালোচনার পাশাপাশি অনেকে মাহফুজুর রহমানের গান পছন্দও করছেন। সাধুবাদ জানাচ্ছেন। তাদের মতে, বর্তমানে অনেক শিল্পীই গানের কিছু্ না জেনে-বোঝেই তারকাখ্যাতি পেয়ে যায় করপোরেট সমর্থন পেয়ে।
সেখানে একজন চ্যানেল মালিক ও সংগীতানুরাগী হিসেবে মাহফুজুর রহমানের গান করা অনেক বেশিই যৌক্তিক ও আনন্দের।
২০১৬ সালের কোরবানি ঈদের ‘হৃদয় ছুঁয়ে যায়’ শিরোনামের অনুষ্ঠানের পর পরবর্তী বছর রোজার ঈদে প্রচার হয়েছে ‘প্রিয়ারে’ এবং কোরবানি ঈদে প্রচার হয়েছে তার একক সংগীতানুষ্ঠান ‘স্মৃতির আল্পনা আঁকি’। গত বছর প্রচার হয়েছে ‘মনে পড়ে তোমায়’ এবং কোরবানি ঈদে ‘বলোনা তুমি কার’।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন