ঢাকায় দোকানদার, টাঙ্গাইলে মস্ত বড় ডাক্তার!
টাঙ্গাইলে এফ এম শাহ সেকেন্দার (৪৭) নামের এক ভুয়া চিকিৎসককে ছয় মাসের কারাদণ্ডের রায় দিয়েছে ভ্রাম্যমাণ আদালত।
শনিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সহকারী কমিশনার রোকনুজ জামান এ দণ্ডাদেশ দেন। এর আগে গত শুক্রবার সন্ধ্যায় গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেকেন্দারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
শাহ সেকেন্দার ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের মাটিকাটা এলাকার ওমর আলী ফকিরের ছেলে। তিনি নিজেকে বিসিএস ক্যাডারের চিকিৎসক বলে পরিচয় দিতেন। এমনকি টাঙ্গাইল শহরে ‘টাঙ্গাইল ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটালে’ প্রায় পাঁচ মাস ধরে চিকিৎসক পরিচয়ে রোগী দেখতেন তিনি।
পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) জানিয়েছে, ২০ বছর আগে শাহ সেকেন্দার ঢাকার একটি ফার্মেসিতে কাজ করতেন।
এ বিষয়ে জেলা ডিবির (দক্ষিণ) উপপরিদর্শক (এসআই) ওবায়দুর রহমান বলেন, গোপন সংবাদের মাধ্যমে জানতে পারি টাঙ্গাইল ক্লিনিক অ্যান্ড হসপিটালে শাহ সেকেন্দার নামের একজন ভুয়া বিসিএস ডাক্তার রয়েছেন। এমনকি তার নেইমপ্লেটেও ‘বিসিএস ক্যাডার-স্বাস্থ্য’ লেখা রয়েছে। পরে বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে ডিবি পুলিশ তাকে আটক করে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে আসে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, জিজ্ঞাসাবাদের এক পর্যায়ে তিনি (শাহ সেকেন্দার) কোনো ডাক্তার নয় বলে স্বীকার করেন। এ ছাড়া তিনি প্রায় ২০ বছর ধরে ঢাকায় একটি ওষুধের দোকানে থাকতেন। পরে তিনি জালিয়াতির মাধ্যমে নিজেই বিসিএস ক্যাডারের ডাক্তার হন।
তার কোনো ডাক্তারি সার্টিফিকেট নেই। তার সাইনবোর্ডসহ ভুয়া ভিজিটিং কার্ড রয়েছে। তিনি স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজের বিভাগীয় প্রধান বলে দাবি করেন।
টাঙ্গাইলের পুলিশ সুপার (এসপি) সঞ্জিত রায় কুমার বলেন, ওই ভুয়া ডাক্তারকে গ্রেপ্তার করে ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। আমাদের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন