ঢাকায় সুইস প্রেসিডেন্ট অ্যালেই বারসেট
প্রথমবারের মতো রাষ্ট্রীয় সফরে বাংলাদেশে এলেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট অ্যালেই বারসেট।
রোববার বেলা ১টা ২৩ মিনিটে সুইস এয়ারফোর্সের একটি বিশেষ বিমানে ঢাকায় নামেন সুইস প্রেসিডেন্ট। শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ।
এ সময় বিমানবন্দরে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এএইচ মাহমুদ আলী, কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী, বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ, সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী মো. শাহরিয়ার আলম।
অন্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোহাম্মদ শফিউল আলম, তিন বাহিনীর প্রধান, আইজিপি, ঢাকায় ভ্যাটিকানের রাষ্ট্রদূত আর্চবিশপ জর্জ কোচেরি, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব নজিবুর রহমান, রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিব সম্পদ বড়ুয়া ও পররাষ্ট্র সচিব শহীদুল হক।
বিমান থেকে নেমে আসার সময় ২১ বার তোপধ্বনিতে সুইস প্রেসিডেন্টকে স্বাগত জানানো হয়। এ সময় দুটি শিশু ফুল দিয়ে বরণ করে নেয় সুইস রাষ্ট্রপ্রধানকে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ সু্ইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্টকে সঙ্গে নিয়ে মঞ্চে আসার পর দুই দেশের জাতীয় সংগীত বাজানো হয়।
তিন বাহিনীর একটি সুসজ্জিত দল এ সময় গার্ড অব অনার দেয়। পরে প্রেসিডেন্ট বারসেট গার্ড পরিদর্শন করেন এবং উপস্থিত সবার সঙ্গে পরিচিত হন।
সুইস প্রেসিডেন্টের চার দিনের গুরুত্বপূর্ণ এ সফরে দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন ইস্যুর পাশাপাশি প্রাধান্য পাবে রোহিঙ্গা সংকটের বিষয়টি। সফরকালে সুইস প্রেসিডেন্ট কক্সবাজারে রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাবেন বলে জানিয়েছে ঢাকার সুইস দূতাবাস।
এ সফরে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করবেন অ্যালেই বারসেট। এসব বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
এ ছাড়া অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহযোগিতার বিষয়েও আলোচনা করবেন তিনি। এ ছাড়া সুশীলসমাজ ও ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠক করবেন সুইজারল্যান্ডের প্রেসিডেন্ট। পরিদর্শন করবেন ঢাকা আর্ট সামিট।
সংশ্লিষ্টরা জানান, বাংলাদেশ ও সুইজারল্যান্ডের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৪৫ বছরপূর্তি হয়েছে ২০১৭ সালে। ১৯৭২ সালের ১৩ মার্চ দুই দেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়েছিল। সেদিনই সুইজারল্যান্ড বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। ২০১০ সালের তুলনায় বর্তমানে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক লেনদেন বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন