ঢাকা, গাজীপুর, না.গঞ্জ ছাড়ছে সোয়া কোটি মানুষ

প্রিয়জনদের সঙ্গে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ঢাকা, গাজীপুর ও নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছেন ১ কোটি ২৯ লাখ মানুষ।

বুধবার নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এ তথ্য জানান।

তিনি বলেন, ঈদে ঘরমুখো মানুষদের ৫৫ শতাংশ সড়ক পথে, ২৫ শতাংশ নৌপথে এবং ২০ শতাংশ রেলপথে যাতায়াত করে। বিপুলসংখ্যক মানুষ ঈদের পরে দ্রুততম সময়ে ফিরে আসবে। এবার বাসসহ বিভিন্ন ধরনের সড়কযানে যাচ্ছে ৭০ লাখ ৯৫ হাজার মানুষ। লঞ্চ-স্টিমার-ট্রলারসহ বিভিন্ন নৌযানে ৩২ লাখ ২৫ হাজার ও ট্রেনে যাচ্ছে ২৫ লাখ ৮০ হাজার মানুষ।

ঈদে ঘরমুখো মানুষের নিরাপদ যাতায়াত নিশ্চিত করতে সরকার বেশকিছু পদক্ষেপ নিলেও তা পর্যাপ্ত নয়, এ দাবি করে তিনি আরো বলেন, বাসযাত্রীরা সহজে ঢাকা ছাড়তে পারলেও দূরপাল্লার মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে ও ফেরিঘাটে মারাত্মক যানজটে পড়ছেন। এ ছাড়া দূরপাল্লার বিলাসবহুল বাসগুলো যথাসময়ে যাত্রা করলেও ট্রেন ও লঞ্চের সময়সূচিতে মারাত্মক বিপর্যয় ঘটছে।

সংগঠনটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, ঈদুল ফিতরের তুলনায় এবার ঈদুল আজহায় ট্রেন ও বাসের টিকিট কালোবাজারি কম হলেও অনেক বাস ও লঞ্চ অতিরিক্ত ভাড়া আদায় করছে। গুরুত্বপূর্ণ দুটি ফেরিঘাট মুন্সীগঞ্জের শিমুলিয়া (মাওয়া) ও মানিকগঞ্জের পাটুরিয়ায় দুর্বল ব্যবস্থাপনার কারণে ভিআইপি সেবার নামে পদ্মার শিমুলিয়া-কাঠালবাড়ি ও পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে যাত্রীবাহী যানবাহন পারাপারে সিরিয়াল (ধারাবাহিকতা) ভঙ্গসহ নানা অনিয়ম হচ্ছে।

ফলে ঢাকা ছেড়ে যাওয়া দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় ২১ জেলার বাসগুলো নির্ধারিত সময়ে গন্তব্যে পৌঁছাতে পারছে না। এ ছাড়া দুর্ঘটনার ঝুঁকি সত্ত্বেও আইন লঙ্ঘন করে ট্রেন ও লঞ্চের ছাদে যাত্রী বোঝাই করা হচ্ছে। এসব কারণে শেষ মুহূর্তে ঘরমুখো মানুষদের দুর্ভোগ-দুর্দশা ও শঙ্কা মাথায় নিয়েই বাড়ি ফিরতে হচ্ছে।