ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে আজও যানজট
টানা বৃষ্টি আর ভাঙা রাস্তার কারণে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে তিন দিন ধরে যানজট অব্যাহত আছে। যানজটের কারণে আজ রোববারও যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।
পুলিশ, প্রত্যক্ষদর্শী ও চালকেরা জানান, ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত করার জন্য বিভিন্ন স্থানে রাস্তা খোঁড়াখুঁড়ির কাজ চলছে। যানবাহন চলাচলের জন্য কয়েকটি স্থানে ডাইভারশন করা হয়েছে। মহাসড়কের মির্জাপুর অংশের বিভিন্ন স্থানে বড় বড় গর্ত রয়েছে। গত শুক্রবার ভোররাত থেকে শুরু হয় টানা বৃষ্টি। এ কারণে ডাইভারশন ও খোঁড়াখুঁড়ি করা অংশ কর্দমাক্ত হয়ে পড়ে। গর্তগুলো পানিতে ডুবে যায়। ফলে চালকেরা যানবাহন ঠিকমতো চালাতে পারছেন না। এতে সৃষ্টি হয়েছে যানজটের। এ ছাড়া গতকাল শনিবার রাতে মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তে ট্রাক আটকে যানজট বেড়েছে।
গতকাল দুপুর পর্যন্ত মির্জাপুর উপজেলার মির্জাপুর বাসস্টেশন থেকে নাটিয়াপাড়া এলাকায় কোনো যানজট ছিল না। তবে দুপুরের পর হঠাৎ করে এই অংশেও যানজট সৃষ্টি হতে থাকে। একপর্যায়ে গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ৫৫ কিলোমিটার এলাকায় তীব্র যানজট দেখা দেয়।
রাজশাহী থেকে ঢাকাগামী ট্রাকচালক মো. শামীম হোসেন বলেন, শুক্রবার রাত ১১টার দিকে তিনি এলেঙ্গায় যানজটে পড়েন। সেখান থেকে গতকাল বেলা একটার দিকে কিছু দূর এগিয়ে ফের যানজটে পড়েন। অব্যাহত যানজটের কারণে ট্রাক চালাতে কষ্ট হওয়ায় মির্জাপুর ফিলিং স্টেশনে কিছুটা সময় বিশ্রাম নিয়েছেন। আজ সকাল আটটার দিকে তিনি কোনোমতে মির্জাপুর পার হন।
আজ সকাল সাতটা থেকে আটটা পর্যন্ত মহাসড়কে অবস্থান করে যানজটের ভয়াবহতা লক্ষ করা যায়। টাঙ্গাইলগামী যানবাহনগুলো থেমে থেমে চলছিল। আর ঢাকাগামী যানবাহনগুলো একেবারেই স্থবির হয়েছিল।
উত্তরাঞ্চলগামী জে আর পরিবহনের যাত্রী রাশেদ মিয়া বলেন, গতকাল দিবাগত রাত দুইটার দিকে তাঁরা চন্দ্রায় যানজটে পড়েন। সেখান থেকে মির্জাপুর আসতে মাত্র ৩০ মিনিট সময় লাগার কথা। কিন্তু ছয় ঘণ্টা পর আজ সকালে মির্জাপুর পার হন।
মির্জাপুরের গোড়াই হাইওয়ে থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম কিবরিয়া বলেন, মহাসড়ক চার লেনে উন্নীত না হওয়া পর্যন্ত যানজট কমবে বলে মনে হয় না। গত রাতে মির্জাপুর বাইপাসের বিভিন্ন স্থানে কয়েকটি ট্রাক আটকে যায়। এ কারণে যানজট বাড়ে। তবে আজ সকাল থেকে ধীরে ধীরে যানবাহন চলতে শুরু করেছে। বৃষ্টি না হলে দ্রুত যানজট কেটে যেতে পারে। যানচলাচল স্বাভাবিক রাখতে পুলিশ পরিশ্রম করে যাচ্ছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন