ঢাকা বাইপাস সড়ক আট বছর সংস্কারহীন
ভারী ট্রাক, লরি ও বেড়ে যাওয়া ও অন্যান্য ভারী যানবাহনের চাপে ঢাকা বাইপাস সড়ক চ্যাপ্টা হয়ে গেছে। স্থানে স্থানে তৈরি হয়েছে গর্ত। বার বার ব্যয় প্রাক্কলন করা হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতায় সড়কের সংস্কার কাজ আটকে আছে আট বছর ধরেই। সওজ অধিদপ্তর সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
বর্তমানে অবস্থা এমন যে এই সড়কে ধীরে চালাতে হচ্ছে ট্রাক ও বাস। আগামী বর্ষা মৌসুমের আগে সড়কটির সংস্কার করা না হলে তা পরিত্যক্ত হয়ে যাবে বলে সড়ক বিভাগের উর্ধতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
সড়কটি সংস্কারে ঢাকা সড়ক বিভাগ ১২ বার প্রাক্কলন তৈরি করে। ব্যয় ধরা হয় ২২ থেকে ২৫ কোটি টাকা। ঢাকা সড়ক বিভাগের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আব্দুস সবুর জানান, ঢাকা বাইপাস সড়কের পিপিপি প্রকেল্পর কাজ জুলাই থেকে শুরু হবার কথা। এ কারণে বড় ধরণের মেরামত কাজ তারা আপাতত করা হচ্ছে না।
ঢাকা-চট্টগ্রাম ও ঢাকা সিলেট মহাসড়কের ১০ চাকার ভারী ট্রাক বাইপাস সড়কটি ব্যবহার করে উত্তরাঞ্চলে চলাচল করছে। ঢাকা নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর এই তিন সড়ক বিভাগে পড়েছে ঢাকা বাইপাস সড়কটি। এর মধ্যে ঢাকা অংশের ১০ কিলোমিটারে সবচেয়ে খারাপ। কিন্তু নারায়নগঞ্জ ও গাজীপুর অংশ এর মধ্যে ৩ বার বড় ধরণের সংস্কার কাজ করা হয়েছে। একবারও কাজ হয়নি ঢাকা অংশের ১০ কিলোমিটারে।
দেশের বিভিন্ন জেলার বিশেষ করে উত্তরাঞ্চলের ১৬ জেলার মালবাহী ট্রাক ও ট্যাংক লরির চাপে সড়কটি বহু আগেই বেহাল হয়ে পড়ে। পারতপক্ষে কোনো চালক প্রাইভেট কার ও মাইক্রোবাস এই সড়কে চালাতে চান না। কাঞ্চনসেতু থেকে উলুখোলা সেতু পর্যন্ত ১০ কিলোমিটার সড়ক খুবই বেহাল। বিটুমিন উঠে ভেতরেরর পাথর সরে গেছে, কোথাও তৈরি হয়েছে বড় বড় গর্ত। কোথাও হা করে আছে বড় খাদ।
সওজ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সড়ক বিভাগ ২০০৮ সালে সড়কের উন্নয়ন কাজ করেছিল। তারপর কোন কাজ হয়নি। জোড়াতালি দিয়ে সড়কটি সচল রাখা হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন