ঢাকা উত্তরে খালেদার প্রচারে বাধা নেই : সিইসি
ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনে মেয়র পদে উপ নির্বাচনে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার প্রচারে কোনো আইনি বাধা নেই বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদা।
সিইসি বলেন, ‘প্রতিবন্ধকতার প্রশ্নই উঠে না; উনি (খালেদা জিয়া) বা উনার মতো কেউ প্রচারে গেলে কোনো বাধা দেওয়া হবে না। আমাদের পক্ষ থেকে কোনো বাধা নেই।’
মঙ্গলবার নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে ঢাকা উত্তর সিটির মেয়র পদে এবং ঢাকা উত্তর এবং দক্ষিণে ৩৬টি ওয়ার্ডে কাউন্সিলর নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এ কথা বলেন সিইসি।
২০১৫ সালে ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ঢাকা উত্তরে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী তাবিথ আউয়াল ও ঢাকা দক্ষিণে মির্জা আব্বাসের পক্ষে প্রচারে নেমে হামলার শিকার হয়েছিলেন খালেদা জিয়া।
সে সময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে বিএনপি নেত্রীর এই প্রচারকে নির্বাচনী আইনের লংঘন হিসেবে অভিযোগ করা হয়েছিল।
সিটি করপোরেশন বা অন্য কোনো স্থানীয় নির্বাচনে সংসদ সদস্য বা মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী বা মন্ত্রী মর্যাদার কারও প্রচারে আইনি বাঁধা আছে। কিন্তু ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির সংসদ নির্বাচন বর্জনের পর খালেদা জিয়ার সরকারি কোনো প্রটোকল নেই। ফলে তার আইনি কোনো বাধা নেই।
এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো প্রার্থী ঘোষণা না করলেও আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি আতিকুল ইসলামের নাম এসেছে গণমাধ্যমে। প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার কাছ থেকে নির্দেশ পেয়ে তিনি এরই মধ্যে জনসংযোগে নেমে গেছেন। আর বিএনপি ২০১৫ সালের মতোই তাবিথ আউয়ালকে প্রার্থী করবে বলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন দলের নেতারা।
সিইসি বলেন, ভোটের প্রচারে নিরাপত্তার বিষয়ে কঠোর অবস্থানে থাকবে নির্বাচন কমিশন। এ জন্য আইন শৃঙ্খলা বাহিনী, নির্বাহী ও বিচারিক হাকিমসহ সবার তৎপরতাও বেশি থাকবে।
ভোট উৎসবমুখর হবে বলে আশার কথা জানিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বলেন, ভোটকেন্দ্রে কোনো গণমাধ্যমকে বাধাও দেওয়া হবে না। তবে সাংবাদিক, পর্যবেক্ষকদেরকে নীতিমালা মেনেই কাজ করতে হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন