ঢাবির ভর্তি পরীক্ষায় প্রথম হওয়া এক ছাত্রের ব্যাখ্যা


‘দুই ইউনিটের ফেল করা শিক্ষার্থীরাই “ঘ” ইউনিটের প্রথম-দ্বিতীয় হয়েছেন’ এই শিরোনামে বুধবার দুটি খবর প্রকাশিত হয়। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছরের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে প্রথম হওয়া তাসনীম বিন আলম মনে করেন, ‘এই খবরের কারণে কিছু বিভ্রান্তি ছড়াতে পারে।’ তিনি এ ব্যাপারে নিজের ব্যাখ্যা দিয়েছেন। তাঁর ব্যাখ্যায় তিনি বলেছেন—
আমি তাসনীম বিন আলম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের এ বছরের ‘ঘ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১০৯.৫ নম্বর পেয়ে প্রথম স্থান অধিকারী। আমি ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নিয়ে ৪৩.৭৫ নম্বর পেয়েছিলাম। এখানে উল্লেখ্য, কলেজের প্রথম বর্ষ থেকেই আমার ‘ঘ’ ইউনিটে ইকোনমিকস নিয়ে পড়ার ইচ্ছা। উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পরের পুরোটা সময় আমি ‘ঘ’ ইউনিটের জন্যই প্রস্তুতি নিয়েছি। সেই সময়ে এমনকি ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষার আগমুহূর্তেও আমি বিজ্ঞান বিভাগের কোনো বই পড়িনি। ‘ক’ ইউনিটের ফরম আমি তুলেছিলাম মূলত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষার একটা প্র্যাকটিক্যাল এক্সপেরিয়েন্স অর্জনের জন্য, যাতে করে ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় আমার নার্ভাসনেস কাজ না করে। আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোথাও বিজ্ঞান-সম্পর্কিত ইউনিটের ফরম তুলিনি।
আমি একটি বিষয়ে সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে চাই। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় আমি চতুর্থ বিষয় জীববিজ্ঞানের বদলে বাংলা উত্তর করি এবং যেখানে আমার মোট নম্বর ছিল ৪৩.৭৫। সেখানে বাংলাতেই আমি পেয়েছিলাম ২১.৭৫ নম্বর। কেননা আমি ‘ঘ’ ইউনিটের প্রিপারেশন নিচ্ছিলাম এবং বাংলা তুলনামূলকভাবে ভালো পড়া ছিল।
৪ অক্টোবর অনুষ্ঠিত জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায়ও আমি ছেলেদের মধ্যে পঞ্চম স্থান অর্জন করি। উল্লেখ্য, এই ইউনিটেও ইকোনমিকস আছে—যে বিষয়ে আমার পড়ার ইচ্ছা। তার আগে জাহাঙ্গীরনগরে হয়ে যাওয়া বিজ্ঞান-সম্পর্কিত অন্যান্য অনুষদের ফরম আমি তুলিনি, পরীক্ষা দিইনি।
বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে আমার ‘ক’ ইউনিটে ফেল করেও ‘ঘ’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রথম হওয়ার বিষয়টিকে প্রশ্নবিদ্ধ করা হয়েছে। এ ব্যাপারে আমি বলতে চাই, উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর থেকে আমি শুধু ‘ঘ’ ইউনিটের প্রস্তুতিই নিয়েছি। ‘ক’ ইউনিটের জন্য তিলমাত্র প্রস্তুতি নিইনি। তাই ‘ক’ ইউনিটের পরীক্ষায় খারাপ করলেও, আমি ‘ঘ’ ইউনিটে ঈপ্সিত ফলাফল পেয়েছি।
আর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘ক’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় আমার বাংলা উত্তর করা, সেখানে ৩০-এ ২১.৭৫ পাওয়া (যেখানে বিজ্ঞানের ৩ বিষয় উত্তর করে আমি পেয়েছি ৯০-এ ২২), জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ‘খ’ ইউনিটের পরীক্ষায় পঞ্চম হওয়া এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞান-সম্পর্কিত অনুষদের ফরম না তোলা—আশা করি আমার ‘ঘ’ ইউনিটের প্রস্তুতি এবং তাতে ভালো করার পক্ষে যথেষ্ট সমর্থন দেয়।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন