ঢাবি ছাত্র ইউনিয়নের কর্মী ও সম্পাদককে মারধর ছাত্রলীগের
ছাত্রলীগ ছেড়ে ছাত্র ইউনিয়নে যোগ দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এক শিক্ষার্থীকে মারধর করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। এই শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করতে গিয়ে মারধরের শিকার হন ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে হলের সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনে এ ঘটনা ঘটে। মারধরের শিকার ওই শিক্ষার্থীর নাম অনিন্দ্য মণ্ডল। তিনি দর্শন বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র। এ অভিযোগ উঠেছে জগন্নাথ হল ছাত্রলীগের সভাপতি প্রার্থী অতনু ও তাঁর সমর্থকের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনার পর রাত ১২টার দিকে ছাত্র ইউনিয়নের নেতাকর্মীরা হলে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। তাঁরা জড়িত ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের শাস্তির দাবিতে স্লোগান দেন।
হল সূত্রে জানা যায়, অনিন্দ্য প্রথম বর্ষে ছাত্রলীগের মাধ্যমে হলে ওঠেন। কয়েক দিন আগে তিনি ছাত্রলীগের কর্মসূচিতে যোগ না দিয়ে ছাত্র ইউনিয়নের কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছিলেন। বিষয়টি হল ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা জানার পর অনিন্দ্যের জিনিসপত্র সন্তোষচন্দ্র ভট্টাচার্য ভবনের ৫০০৫ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে নিজের জিনিসপত্র আনতে গেলে অনিন্দ্যকে মারধর করা হয় এবং আটকে রাখা হয়। এ খবর পেয়ে ছাত্র ইউনিয়নের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাধারণ সম্পাদক রাজীব দাস সেখানে যান। তাঁকেও মারধর করা হয় বলে তিনি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে রাজীব দাস সাংবাদিকদের বলেন, ‘অনিন্দ্য আগে ছাত্রলীগ করত। কিন্তু সম্প্রতি সে ছাত্র ইউনিয়নের মিছিলে যায়। পরে ছাত্রলীগের ছেলেরা তার জিনিসপত্র নিয়ে যায়। সেগুলো আনতে গেলে তাকে মারধর করে রুমের মধ্যে আটকে রাখে। তাকে আনতে গেলে তারা আমাকেও মারধর করে।’
জগন্নাথ হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. অসীম কুমার সরকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘ছাত্র ইউনিয়ন থেকে ছাত্রলীগ করতে চাওয়ায় এক ছাত্রকে মারধর করা হয়েছে। এ ঘটনা কোনোভাবেই কাম্য নয়। আমরা খতিয়ে দেখছি। দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সভাপতি সঞ্জিত চন্দ্র দাস বলেন, ‘মারধর করা ঠিক হয়নি। এ ঘটনার সঙ্গে যারা জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন