তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যা : ৪ ছাত্রলীগ নেতা বহিষ্কার
পাথরঘাটায় তরুণীকে ধর্ষণের পর হত্যার করে লাশ গুমের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেফতারকৃত চার ছাত্রলীগ নেতাকে সাময়িক বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ।
সোমবার সকালে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সুপারিশে কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগ তাদের বহিষ্কার করে।
বহিষ্কারকৃতরা হলেন- পাথরঘাটা কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল (২২), সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্ট (২১), সাংগঠনিক সম্পাদক মাহিদুল ইসলাম রায়হান (১৯), উপজেলা ছাত্রলীগের সহসম্পাদক মো. মাহমুদ (১৮)।
বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি মো. জুবায়ের আদনান অনিক বলেন, গ্রেফতারের পর ওই চার নেতাকে নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হলে বিষয়টি নজরে আসে। পরে বরগুনা ছাত্রলীগের সুপারিশে রাতেই তাদের বহিষ্কার করে কেন্দ্র।
এদিকে সোমবার বেলা ১১টায় বরগুনা পুলিশ সুপার বিজয় বসাক সাংবাদিকদের জানান, চলতি বছরের ১০ আগস্ট পাথরঘাটা কলেজের পশ্চিম পাশের পুকুর থেকে অজ্ঞাত এক তরুণীর গলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।
ঘটনার পর থেকে এ হত্যাকাণ্ডের রহস্য উদ্ঘাটনের জন্য দীর্ঘ সময় ধরে তদন্তে লেগে থাকে পুলিশ। পরে তথ্য পেয়ে গত শুক্রবার পাথরঘাটা কলেজের নৈশপ্রহরী মো. জাহাঙ্গীর হোসেনকে (৪৪) গভীর রাতে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ।
জাহাঙ্গীরের দেয়া স্বীকারোক্তি অনুযায়ী, গত শনিবার রাতে ছাত্রলীগ নেতা মাহমুদ ও রায়হানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়।
সর্বশেষ রোববার বিকালে পাথরঘাটা কলেজ চত্বর থেকে কলেজ ছাত্রলীগ সভাপতি রুহি আনান দানিয়াল ও সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন ছোট্টকে আটক করে ডিবি পুলিশ।
এখন পর্যন্ত নিহত তরুণীর পরিচয় পাওয়া যায়নি। তবে গ্রেফতারকৃত দানিয়াল এবং সাদ্দামকে জিজ্ঞাসাবাদের পর তরুণীর পরিচয় পাওয়া যাবে বলে মনে করেন পুলিশ সুপার বিজয় বসাক।
তাছাড়া, এ ঘটনায় আরও কেউ জড়িত আছে কিনা ওই দুজনকে গ্রেফতারের পর তাও জানা যাবে। তবে মাহমুদ ও রায়হান এ হত্যাকাণ্ড এবং লাশ গুমের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল বলে আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে তিনি জানান।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন