তরুণীবধূ খুন: কবরের পাশে ঘাতক স্বামীর আত্মহত্যা!
ছোট ভাইয়ের সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের সন্দেহে তরুণী বধূকে খুন একদিন পরেই স্ত্রীর কবরের পাশে গিয়ে আত্মহত্যা করলেন ঘাতক স্বামী মনিরুল ইসলাম (৩০)। এ ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। দুই পরিবারে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
গত ৩১ মে স্ত্রী তহমিনাকে আনতে গিয়ে শ্বশুরবাড়িতে তাকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে বসেন মনিরুল। এরপর থেকে পলাতক ছিলেন। গত ২ জুন রাতে বাড়ি ফিরে আসেন মনিরুল। রাত ৯টার দিকে স্ত্রীর কবরে গিয়ে বিষপান করেন। পরে তাকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে মারা যান।
স্ত্রীকে হত্যার পর আত্মহত্যাকারী মনিরুল ইসলাম যশোরের ঝিকরগাছা উপজেলার রাজবাড়ি গ্রামের রবিউল ইসলামের ছেলে। তার স্ত্রী তহমিনা সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার দেয়াড়া গ্রামের ইমান আলী সরদারের মেয়ে। বছর দেড়েক আগে তাদের বিয়ে হয়েছিল।
স্থানীয় সূত্রমতে, মনিরুল-তহমিনার সংসার সুখেই চলছিল। এরই মধ্যে ছোট ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রীর পরকীয়ার সন্দেহ আর কথিত যৌতুকের কারণে সংসারে দাম্পত্য কলহের সৃষ্টি হয়। এক পর্যায়ে কয়েকদিন আগে রাগ করে বাবার চলে যান তহমিনা। গেল ৩১ মে বিকেলে স্ত্রীকে আনতে দেয়াড়া গ্রামে যান মনিরুল। রাতে খাবার খেয়ে স্বামী-স্ত্রী ঘুমিয়ে পড়েন।
পরদিন ১ জুন সকালে তহমিনাকে মৃত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখে তার স্বজনরা। সে সময় সেখানে তার স্বামী মনিরুল ছিলেন না। ধারনা করা হয়, শ্বাসরোধ করে স্ত্রীকে হত্যার পর রাতের আঁধারে মনিরুল পালিয়ে যান।
স্থানীয় একাধিক সূত্রমতে, স্বামী মনিরুল ইসলাম তার ছোট ভাইয়ের সঙ্গে স্ত্রী তহমিনার পরকীয়ার সম্পর্ক আছে বলে সন্দেহ করতেন। এ নিয়ে স্ত্রীর সঙ্গে প্রায়ই ঝগড়া বিবাদ লাগতো। তবে স্বামীর সেই সন্দেহ মিথ্যা বলে নিশ্চিতও করেছিলেন তহমিনা। কিন্তু এতো কিছুর পরেও মনিরুল শ্বশুর বাড়িতে গিয়ে রমজানের রাতে পাশের ঘুমন্ত স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যা করে পালিয়ে যান।
কলারোয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বিপ্লব দেবনাথ জানান, স্ত্রী হত্যার দায়ে অভিযুক্ত আত্মহননকারী স্বামী মনিরুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য শনিবার সাতক্ষীরা মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন