তামিমের আরেকটি সেঞ্চুরি, বাংলাদেশের আরেকটি আশা
গায়ানায় প্রথম ওয়ানডেতে সাফল্য পেলেও দ্বিতীয় ম্যাচে ব্যর্থ। সেন্ট কিডসে আজ তাই অঘোষিত ফাইনালে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজের মুখোমুখি হয়েছে বাংলাদেশ। এ ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেওয়া বাংলাদেশ গড়েছে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ। ওপেনার তামিম ইকবালের চমৎকার সেঞ্চুরির ওপর ভর করে ৩০১ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়ে লাল-সবুজের দল।
অবশ্য ইনিংসে বাংলাদেশের শুরুটা খুব একটা ভালো হয়নি। গত দুই ম্যাচের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে শুরুতে ফিরে যান ওপেনার এনামুল হক, দলীয় ৩৫ রানের মাথায় ৩১ বলে মাত্র ১০ রান করে।
অবশ্য এর পরই ব্যাট হাতে দৃঢ়তা দেখান ওপেনার তামিম ইকবাল ও ওয়ানডাউনে নামা সাকিব আল হাসান। দ্বিতীয় উইকেটে এই দুজনের দৃঢ়তায় দল বড় সংগ্রহের পথ দেখে। তারা ৮১ রানের পার্টনারশিপ গড়েই এগিয়ে দেন দলকে।
গত দুই ম্যাচে দারুণ দুটি হাফ সেঞ্চুরি করা সাকিব এদিন অবশ্য খুব বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে তাঁর ৪৪ বলের ৩৭ রানের ইনিংসটিও বেশ কর্যকরি ছিল। এর পর মুশফিকুর রহিম (১২) দ্রুত ফিরে গলেও একপাশ আগলে রাখেন তামিম। ক্যারিয়ারের এগারোতম সেঞ্চুরি করেন আউট হন তিনি। এই বাঁহাতি ওপেনার ১২৪ বলে ১০৩ রান করেই আউট হন।
তবে পঞ্চম উইকেট জুটিতে মাহমুদউল্লাহ ও অধিনায়ক মাশরাফি বিন মুর্তজা দারুণ দুটি ইনিংস খেলে দলকে বড় সংগ্রহ গড়ে দিতে অন্যতম অবদান রাখেন।
দীর্ঘদিন পর ব্যাট হাতে উজ্জ্বল ছড়ান মশরাফি। তিনি ২৪ বলে ৩৬ রান করেন। তাঁর এই ইনিংসে চারটি চার ও একটি ছক্কার মার ছিল। আর মাহমুদউল্লাহ ৬৭ রান করে ক্যারিয়ারের ১৯তম ফিফটি ঝুলিতে পুরেন।
আজকের ম্যাচটি দুই দলের জন্যই খুবই গুরুত্বপূর্ণ, যে জিতবে তারাই সিরিজ জয়ের সাফল্য পাবে। অবশ্য ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তাদের মাটিতে ২০০৯ সালে দারুণ সাফল্য পেয়েছিল বাংলাদেশ। ওয়ানেডে সিরিজ ৩-০ তে হোয়াইটওয়াশ করেছিল সাকিব-তামিমরা। আজ জিতলে ক্যারিবীয়দের বিপক্ষে তৃতীয় এবং তাদের মাটিতে দ্বিতীয় সাফল্য পাবে বাংলাদেশ।
বাংলাদেশ ২০১২-১৩ মৌসুমের নিজেদের মাটিতে একবার সিরিজ জিতেছিল এই ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বে সেই সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে সাফল্য পেয়েছিল লাল-সবুজের দল।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন