তামিম-মুশফিকের ব্যাটে বাংলাদেশের আশা
সাব্বির রহমান কি ৫০০ রানের ইনিংস খেলতে চাইছেন? ডানহাতি এই ব্যাটসম্যানের মারমুখী ব্যাটিং দেখে এমন প্রশ্নই করা হয়েছিল আইসিসির টুইটার পেজে। প্রথম ওভারেই সৌম্য সরকারের উইকেট হারানোর পর উইকেটে এসেই সাব্বির শুরু করেছিলেন টি-টোয়েন্টির মতো ব্যাটিং। কিন্তু বেশি আগ্রাসী হতে গিয়ে উইকেটটিও বিলিয়ে দিয়ে এসেছেন তিনি। আউট হয়ে গেছেন সপ্তম ওভারে। তৃতীয় উইকেটে ৩২ রানের অবিচ্ছিন্ন জুটি গড়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালাচ্ছেন তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম। এই প্রতিবেদন লেখার সময় ১৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর: ৬৭/২।
ইংলিশ কন্ডিশনে প্রথম কয়েক ওভারে বল দারুণ সুইং করে। এই সময় ব্যাটসম্যানদের খুবই সাবধানী হতে হয়। বল কিছুটা পুরোনো হলে সহজেই শট খেলা যায়। ভারতের বিপক্ষে সেমিফাইনালে বাংলাদেশেরও পরিকল্পনা ছিল এমনটিই। তবে মাঠে গিয়ে সেটা বাস্তবায়ন করতে পারলেন না সৌম্য সরকার। প্রথম ওভারেই ব্যাট চালাতে শুরু করেন তিনি। ফলও হাতেনাতে পেয়েছেন এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। ভুবনেশ্বর কুমারের একটি ইন সুইংয়ে ব্যাট চালাতে গিয়ে স্টাম্প হারিয়েছেন সৌম্য। বাংলাদেশের রান তখন কেবল ১। সপ্তম ওভারে ১৯ রান করে ফিরে গেছেন সাব্বিরও। বাংলাদেশের ভরসা হয়ে উইকেটে টিকে আছেন তামিম ইকবাল।
বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা ম্যাচটি শুরুও হয়ে গেছে। এজবাস্টনে হচ্ছে এই ম্যাচটি। এর আগে টস নামক ভাগ্য পরীক্ষায় অবতীর্ণ হন মাশরাফি বিন মুতর্জা ও বিরাট কোহলি। এতে জেতেন ভারত অধিনায়ক কোহলি। টস জিতে মাশরাফিদের ব্যাটিংয়ে পাঠিয়েছেন তিনি।
মাশরাফি স্বীকার করুন আর নাই করুন, আজকের ম্যাচটিই এখন পর্যন্ত বাংলাদেশের ক্রিকেট ইতিহাসের সবচেয়ে সেরা ও কাঙ্ক্ষিত ম্যাচ। এর আগে কখনই কোনো ইভেন্টের ফাইনালে উঠতে পারেনি টাইগাররা। নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে কয়েকদিন আগেই সেই ইতিহাসের পথে হেঁটেছে মাশরাফির দল। এখন ইতিহাসে অমরত্বের পথে বাংলাদেশের এই দলটি। আজকের সেমিফাইনালটি জিতলেই প্রথমবারের মতো কোনো আসরে শিরোপার লড়াইয়ে মাঠে নামবে বাংলাদেশ।
আজকের ম্যাচে অপরিবর্তিত একাদশ নিয়ে মাঠে নামছে ভারত ও বাংলাদেশ। এবারের টুর্নামেন্টে হার দিয়ে যাত্রাটা শুরু করে বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় সংগ্রহ করেও হারতে হয় মাশরাফিদের। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটা পরিত্যক্ত হলে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সেমিফাইনালের পথে অনেকটা এগিয়ে যায় লাল- সবুজের দল। তবে শেষ চার নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশকে অপেক্ষা করতে হয় ইংল্যান্ড-অস্ট্রেলিয়া ম্যাচের ফলাফলের দিকে। সেই ম্যাচে ডাকওয়ার্থ-লুইস পদ্ধতিতে ৪০ রানের দারুণ জয় পায় ইংল্যান্ড। যার ফলে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ফাইনালে ওঠেন মাশরাফিরা।
অপরদিকে দুর্দান্ত শুরু করলেও মাঝখানে খেই হারিয়ে ফেলে ভারত। পাকিস্তানের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে বড় ব্যবধানে জিতলেও পরের ম্যাচে শ্রীলঙ্কবার কাছে হেরে যায় কোহলির দল। সেমিফাইনালে যাওয়ার জন্য তাই গ্রুপ পর্বে নিজেদের শেষ ম্যাচে জয়ের কোনো বিকল্প ছিল না দলটির। সেই ম্যাচে প্রোটিয়াদের আট উইকেটে হারিয়ে সেমিতে উঠে যায় আসরের অন্যতম শিরোপা প্রত্যাশী দল ভারত।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন