তারেক রহমানের বিচার বাংলার মাটিতেই হবে- কামরুল ইসলাম

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কামরুল ইসলাম বলেছেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বঙ্গবন্ধুর খুনি ও একাত্তরের ঘাতকদের বিচার এই বাংলার মাটিতে হয়েছে। আমাদের আরেকটা বিচার করতে হবে। সেটা হলো ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলার মাস্টারমাইন্ড তারেক তহমানকে দেশে ফিরিয়ে নিয়ে এসে বিচার কার্যকর করা। বঙ্গবন্ধুকন্যার নেতৃত্বে এই রায় আমরা কার্যকর করব৷

বৃহস্পতিবার (২৩ জুন) সন্ধ্যায় ২৩ বঙ্গবন্ধু এভিনিউ দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের প্লাটিনাম জয়ন্তী উপলক্ষে ঘোষিত কর্মসূচি সফল করার লক্ষ্যে বিশেষ বর্ধিত সভায় তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ বর্ধিত সভার আয়োজন করে।

কামরুল ইসলাম বলেন, সামনে ঈদ। এই ঈদের পর আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী সফল করতে আমাদের আগাম প্রস্তুতি নিতে হবে। কারণ এবারের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর র্যা লি ব্যাপকভাবে করতে হবে। যেন এই র্যালি জনসমুদ্র পরিণত হয়।

তিনি আরও বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস ও ঐতিহ্য আন্দোলন সংগ্রামের ইতিহাস। এই ইতিহাস দেশের আর কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।

আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, দেশের সব অর্জনের সাথে জড়িত বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ। এই দলের নেতৃত্বে গণতন্ত্রের পথে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। দেশের মানুষের কাছে জনপ্রিয় রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পর এই দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন শেখ হাসিনা। এই দলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী জনসমুদ্র পরিণত করতে হবে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সমালোচনা করে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম বলেন, বিএনপি মহাসচিব বলে আওয়ামী লীগ ও আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাদের প্রধান শত্রু। এটা কোনো রাজনৈতিক ভাষা হতে পারে না।

তিনি বলেন, যে দলের চেয়ারম্যান খুনি, অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ ও মামলায় সাজাপ্রাপ্ত আসামি। যে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান পলাতক আসামি। যিনি দুর্নীতির টাকা দিয়ে বিদেশে বসে দেশের বিরুদ্ধে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে, শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছেন। তাদের আর ছাড় দেওয়া হবে না। এদের অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে৷

মির্জা আজম বলেন, এবার আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে ব্যাপক কর্মসূচি হাতে নেওয়া হয়েছে। বিশাল সমাবেশ করা হবে। ঈদের পর পর এসব কর্মসূচি সফল করা অনেক চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জে আমাদের সফল হতে হবে।

ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবিরের সঞ্চালনায় বর্ধিত সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ডা. দিলিপ কুমার রায়, হেদায়েতুল ইসলাম স্বপ্নন, নরুল আমিন রুহুল, আব্দুল সামাদ, শরিফউদ্দিন সেন্টু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক গোলাম মোরশেদ কামাল, মিরাজ হোসেন, প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক চৌধুরী সাইফুন্নবী সাগর প্রমুখ।