তাড়াহুড়ো করে নামাজে অংশ গ্রহণ করা যাবে কি?
মসজিদে নামাজের জামাআত শুরু হলে অনেকেই দৌড়ে এসে জামাআতে অংশগ্রহণ করে। আবার ইমাম সাহেব যখন রুকুতে চলে যায় তখন অনেকে দৌড়ে এসে তাড়াহুড়ো করে নিয়ত বেঁধেই দ্রুততার সঙ্গে রুকুতে অংশ গ্রহণ করে। প্রিয়নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজে এভাবে অংশগ্রহণ করতে নিষেধ করেছেন।
রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম নামাজের জামাআতে অংশ গ্রহণে ধীরস্থিরতরা অবলম্বন করার কথা বলেছেন। হাদিসে এসেছে-
হজরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যখন নামাজের ইকামাত বলা হয়, তখন তাড়া-হুড়া না করে ধীরে সুস্থে আসবে। অতঃপর জামাআতের সঙ্গে যতখানি পাবে তা আদায় করে অবশিষ্ট নামাজ নিজে নিজে পুরণ করবে। কেননা তোমাদের কেউ নামাজের উদ্দেশ্যে বের হলে তাকে নামাজে গণ্য করা হয়।’ (বুখারি ও মুসলিম)
হাদিসের ঘোষণা অনুযায়ী জামাআতে নামাজ পড়ার উদ্দেশ্যে যদি কেউ মসজিদের দিকে আসতে থাকে, ওই ব্যক্তির মসজিদের দিকে চলাও নামাজ অবস্থায় থাকার শামিল।
সুতরাং তাড়াহুড়ো করে মসজিদে না এসে ধীরস্থিরভাবে মসজিদে আসা। প্রয়োজনে জামাআত অনুষ্ঠিত হওয়ার নির্ধারিত সময়ের আগে মসজিদে আসা আবশ্যক। নামাজের জন্য অপেক্ষাকারী ব্যক্তির অপেক্ষার সময়ও নামাজের অন্তর্ভূক্ত।
একান্তই যদি মসজিদে আসার আগে নামাজের জামাআত শুরু হয়ে যায় তবে তাড়াহুড়ো না করে ধীরস্থির ও শান্তভাবে মসজিদে উপস্থিত হয়ে জামাআতে অংশ গ্রহণ করাই শ্রেয়।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে নামাজের জামাআতে অংশ নিতে যথা সময়ে মসজিদে আসার তাওফিক দান করুন। আমিন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন