তিনদিনের ব্যবধানে যশোরের মনিরামপুরে দুই শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা
পিতা-মাতার উপর অভিমান করে তিনদিনের ব্যবধানে যশোরের মনিরামপুরে দুই শিশু শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। বুধবার (০৬ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টার দিকে পৌরসভাধীন স্বরুপদাহ গ্রামে মিম খাতুন (৮) নামের এক তৃতীয় শ্রেণীর শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
মিম ওই গ্রামের জোহর আলীর মেয়ে। এরআগে সোমবার (০৪ মার্চ) সন্ধ্যায় কামালপুর গ্রামের অমিয় চক্রবর্তীর ছেলে অভিজিৎ চক্রবর্তী (১১) নামের প ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। পৃথক দুই শিশু শিক্ষার্থীর আত্মহত্যার ঘটনায় অভিভাবক মহলকে ভাবিয়ে তুলেছেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানাগেছে- স্বরুপদাহ গ্রামের মিম খাতুন বুধবার বিকালে ওয়াজ মাহফিলে যাবে বলে পিতার প্রতি আবদার রাখে। মাহফিলে নিয়ে যেতে বিলম্ব হওয়ায় অভিমান করে নিজ ঘরে আড়াই ওড়না পেচিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে।
পরে স্থানীয়রা তাকে হাসপাতালে নিয়ে গেলে সেখানকার জরুরী বিভাগের চিকিৎসক সাইফুজ্জামান তাকে মৃত ঘোষনা করেন। মিম আটপাকিয়া-বেগমপুর-স্বরুপদাহ সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়েরর তৃতীয় শ্রেণীর ছাত্রী।
অপরদিকে সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পৌরশহরের কামালপুর গ্রামের অভিজিৎ চক্রবর্তী ঘরে থাকা টেলিভিশন দেখা নিয়ে মায়ের উপর অভিমান করে ঘরের জানালার গ্রিলের সাথে রশি টাঙ্গিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। অভিজিৎ চক্রবর্তী প্রতিভা বিদ্যানিকেতনের পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্র ছিল।
দুই জন শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করে মনিরামপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা তন্ময় কুমার বিশ্বাস বলেন- হাসপাতালে পৌছানোর পূর্বে তাদের মৃত হয়েছে।
এ ব্যাপারে মনিরামপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেহেদী মাসুদ বলেন- কামালপুর গ্রামের শিশু শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনায় থানার অপমৃত মামলা হয়েছে। তবে মিম খাতুনের মৃত্যুর বিষয়টি আমার জানা নেই।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন