তিনি ঘুষের টাকা শুধু নগদেই নয়, নেন বিকাশেও!
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার সহকারী পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদানন্দ রায়ের বিরুদ্ধে ব্যাপক ঘুষগ্রহণ ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। ঘুষের টাকা তিনি শুধু নগদেই নয়, নেন বিকাশেও।
দাবিকৃত ঘুষ না দিলেই অধস্তন কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বদলির হুমকি দেন তিনি। এতে অতিষ্ঠ হয়ে বৃহস্পতিবার চারজন কর্মকর্তা স্বাস্থ্য শিক্ষা ও পরিবার কল্যাণ বিভাগ এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ে লিখিত অভিযোগ করেছেন।
অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে, সহকারি পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সদানন্দ রায় ২০১০ সালে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলায় যোগ দেন। এরপর থেকে মাঠপর্যায়ের কাজ পরিদর্শন করতে গেলে তাকে নগদ অথবা বিকাশে ঘুষের টাকা দিতে হয়। টাকা না দিলে ঢাকা বিভাগের বাইরে অন্য জেলায় বদলি করে দেয়ার হুমকি দিয়ে আসছেন তিনি।
এর মধ্যে পরিবার কল্যাণ পরিদর্শক সঞ্জু রানী দে ও রাশিদা খানমের কাছ থেকে ভিজিটের ভয় দেখিয়ে একটি সাফারি স্যুট ও ৫ হাজার টাকা নেন সদানন্দ রায়।
এছাড়া বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে মাসিক হারে টাকা আদায় করেন। তাছাড়া বিএভিএস ক্লিনিক থেকে কাগজপত্র নবায়নের কথা বলে ২০ হাজার টাকা নেন। শুধু তাই নয়, ভয় দেখিয়ে বিভিন্ন এনজিওর কাছ থেকেও তিনি ঘুষ আদায় করেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
অভিযোগে আরও উল্লেখ করা হয়, চাকরি দেয়ার কথা বলে ৩ জনের কাছ থেকে ৬ লাখ টাকা নিয়েছে সদানন্দ রায়। উন্নয়ন মেলায় ব্যয় দেখিয়ে উপজেলার ১৯০ জন কর্মকর্তা-কর্মচারীর কাছ থেকে ৪০০-৫০০ টাকা করে চাঁদা আদায় করেছেন।
এসব অভিযোগ উল্লেখ করে উপজেলা পরিবার পরিকল্পনা সহকারী শফিউদ্দিন, পরিদর্শক মালেহা, ওয়াহিদুজ্জামান, সহকারী রেশমা আক্তার বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ করেছেন।
এছাড়াও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জানান, কয়েক দিন ধরে সিলেকশন গ্রেডের নামে বিভিন্ন ব্যক্তির কাছ থেকে ৪০-৫০ হাজার টাকা করে নিচ্ছেন সদানন্দ রায়।
সদানন্দ রায় যুগান্তরকে বলেন, আমার বিরুদ্ধে যেসব অভিযোগ করা হয়েছে তা মোটেও সত্য নয়। আমার ওপরে এখানে আরও তিনজন অফিসার আছেন। যদি কোনো দুর্নীতি করে থাকি তাহলে আমার ঊর্ধ্বতন অফিসাররা অবশ্যই জানতেন এবং ব্যবস্থা নিতেন।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন