তিন ঘণ্টাতেই শেষ ১৪ জুনের বাসের টিকিট
রাজধানীর একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা কলাবাগানের বাসিন্দা শরাফত আলী মঙ্গলবার দিবাগত রাতে সেহরি করে বাসা থেকে গাবতলী বাস টার্মিনালে আসেন। সপরিবারে রংপুরে ঈদ করতে আগামী ১৪ জুন বাসের টিকিটের জন্য লাইনে দাঁড়ান তিনি। তার সামনে তখন দুই শতাধিক মানুষের দীর্ঘলাইন। সকালে টিকেট বিক্রি শুরু হওয়ার পর তিন ঘণ্টা অপেক্ষা শেষে কাউন্টারে পৌঁছে শোনেন ১৪ জুনের টিকিট নেই। অগত্যা নিরুপায় হয়ে ১৫ জুনের টিকিট কাটেন।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে শরাফত আলী বলেন, ১৪ জুন টিকিট পেলে গ্রামে গিয়ে ঈদের ছুটি ভালভাবে কাটাতে পারতাম। কিন্তু দুর্ভাগ্য তা পওয়া যায়নি। তবে ১৫ জুনের টিকিট পেয়েও খুশি তিনি।
আজ (বুধবার) থেকে গাবতলীতে বাসের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। ঈদের ছুটিতে নাড়ির টানে গ্রামে ফিরতে শরাফত আলীর মতো শত শত মানুষ সেহরি খেয়ে গাবতলী বাস টার্মিনালে এসে উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন বাস কাউন্টারে লাইনে দাঁড়িয়েছেন। সকাল ৭টা থেকে টিকিট বিক্রির মাত্র তিন ঘণ্টার মধ্যেই ১৪ জুনের বাসের টিকিট বিক্রি শেষ হয়ে যায়। ১৪ জুনের টিকিট না পেয়ে বাধ্য হয়ে অনেককেই ১৩ ও ১৫ জুনের টিকেট কিনতে দেখা গেছে।
উত্তরবঙ্গগামী বিভিন্ন বাস কাউন্টারে কর্তব্যরত টিকেট বিক্রেতারা জানান, ১৪ জুনের টিকিটের চাহিদা বেশি। বাসের সংখ্যার হিসেবে ওই একই দিনের টিকিটের চাহিদা বেশি হওয়ায় সবাই টিকিট পাননি বলে তারা জানান।
প্রসঙ্গত, রাজধানীর তিনটি বাস টার্মিনাল সায়েদাবাদ, মহাখালী ও গাবতলী থেকে দূরপাল্লার বাস চলাচল করে থাকে। এবার ঈদযাত্রায় ট্রেনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হবে ১ জুন থেকে। তবে বরাবরের ন্যায় বিআরটিসির বাসের আগাম টিকিট বিক্রির ব্যাপারে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন