তিন বছর সময় চায় ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান, বাড়ছে এক বছর
কাজ শেষ করতে পদ্মা সেতুর ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান তিন বছর সময় চাইলেও প্রাথমিকভাবে প্রকল্পের মেয়াদ বাড়ানো হচ্ছে এক বছর। রোববার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রকল্প এলাকা পরিদর্শনকালে এ ঘোষণার পাশাপাশি পদ্মা সেতুর রেল সংযোগসহ ৪টি প্রকল্প উদ্বোধনের কথা রয়েছে।
নদীর পাড়ে এ পিলারগুলোর ওপর নির্মিত ভায়াডাক্ট দিয়ে সেতু থেকে যানবাহন নেমে আসবে সড়কে। মূল সেতুর বাইরে নদীর দুই পাড়ে তাই একের পর এক আকাশের বুকে মাথা তুলছে এরকম ৮১টি পিলার।
প্রস্তুত যানবাহন চলাচলের জন্য টোল প্লাজা। সেতুর অন্য তিনটি প্রকল্প সংযোগ সড়ক, সার্ভিস এরিয়া ও পুনর্বাসনের কাজ শতভাগ শেষ হলেও লক্ষ্যের তুলনায় বেশ পিছিয়ে আছে মূল সেতু এবং নদী শাসনের কাজ।
নদীর মাওয়া প্রান্তে এক সাথে প্রস্তুত ৪টি পিলার। কিন্তু পুরো নদীতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা কাজ বলে দেয়, এই ডিসেম্বরের মধ্যে কাজ শেষ হচ্ছে না। এক্ষেত্রে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান চায়না মেজর ব্রিজ কোম্পানী ৩ বছর, পরামর্শক প্রতিষ্ঠান কোরিয়ান এক্সপ্রেসওয়ে ২০ মাস সময় বাড়াতে চিঠি দিয়েছে। নদী শাসনের দায়িত্বে থাকা সিনো হাইড্রোও চিঠি দেয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে সরকার এক বছরের বেশি বাড়াবে না প্রকল্পের মেয়াদ।
প্রকল্প পরিচালক শফিকুল ইসলাম বলেন, ঠিকাদার সময় চাইতে পারে। কিন্তু আমাদের বিশেষজ্ঞরা ঠিক করবে কতটুকু সময় লাগবে। আমি চাইলে না দিতে পারবো না। বা চাইলেই দিতে পারবো না।
মূল সেতুর কাজ ১৭ শতভাগ এগিয়ে যাওয়ার পর ২০১৫ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রকল্পের অনুষ্ঠানিক কাজ উদ্বোধন করেন। এরপর কাজ চলেছে পুরো দমে। মূল সেতুর মোট ২৯৪টি পাইলের মধ্যে বসেছে ১৭৮টি। এ অবস্থায় রোববার প্রধানমন্ত্রী যাচ্ছেন প্রকল্পের কাজ পরিদর্শনে।
প্রধান পরামর্শক, পদ্মা বহুমুখী সেতু প্রকল্পের প্রধান পরামর্শক অধ্যাপক ড. জামিলুর রেজা চৌধুরী বলেন, শতকার ৬০ ভাগ সম্পন্ন হয়েছে তাই আনুষ্ঠানিক চিহ্ন থাকবে। স্থানীয়রা বলেন, ‘সেতুর পিলার হয়ে গেছে। এখন ওঠা বাকি। সেতু হয়ে গেলে এক ঈশ্বর ছাড়া কেউ জানে না কি আনন্দ পাবো।’
শেষ পর্যন্ত সেতুর নাম চূড়ান্ত হয়েছে পদ্মা বহুমুখী সেতু। প্রধানমন্ত্রী এ নামেই সেতুর নামফলক উদ্বোধন সহ পদ্মা সেতুর রেল সংযোগ প্রকল্পের কাজ শুরু, মাওয়া কান্দিপাড়া এলাকায় ১৩শ মিটার স্থায়ী নদী তীর প্রতিরক্ষা প্রকল্প।
২০১৫ সালের ১২ ডিসেম্বর প্রধানমন্ত্রী পদ্মা সেতুর প্রকল্পের কাজ উদ্বোধন করেছিলেন। ঠিক তিন বছর এই ডিসেম্বরে কাজ শতভাগ শেষ হওয়ার কথা। তবে নানা কারিগরি ও প্রাকৃতিক জটিলতায় শেষ পর্যন্ত সেটি হচ্ছে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ ঠিক কতদিন বাড়ানো হচ্ছে তার সুনির্দিষ্ট ঘোষণার পাশাপাশি পদ্মার দুপারের মানুষের প্রত্যাশা কাজ দ্রুত শেষ করার ঘোষণা দেবেন প্রধানমন্ত্রী।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন