তিস্তা তীরবর্তী অপরিকল্পিত ভাবে নালা খনন ও ক্ষতিপূরণের দাবিতে কুড়িগ্রামে মানববন্ধন

কুড়িগ্রামে অপরিকল্পিতভাবে তিস্তা তীরবর্তী এলাকায় নালা খননে ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্তদের রক্ষায় “ভাঙ্গন ঠেকাও হাসার পাড় বাঁচাও” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কুড়িগ্রাম উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদের উদ্যোগে মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শনিবার বিকেলে কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার নাজিমখান ইউনিয়নের সোম নারায়ন মৌজার হাসার পাড় এলাকায় এই মানববন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
কুড়িগ্রাম জেলা উন্নয়ন ও বাস্তবায়ন পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু’র সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সিনিয়র সাংবাদিক ইউনুস আলী, সাংগঠনিক সম্পাদক সাইয়েদ আহমেদ বাবু, সমাজ কল্যাণ সম্পাদক সুজন মোহন্ত, সমাজকর্মী রবিউল ইসলাম বাদশা বকসী, হাবিবুর রহমান হাবিব, ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার নজরুল ইসলাম, নজির হোসেন, শিক্ষক মাহবুবুর রহমান প্রমুখ।
সংগঠনের সভাপতি অধ্যাপক শফিকুল ইসলাম বেবু বলেন, আজ থেকে ৫০ বছর আগে রাজারহাট উপজেলার সিঙ্গের ডাবরী এলাকার ইটাকুরি বিল রাজারহাট উপজেলার পাঠান হাট, পুনকর, মল্লিক বেগ হয়। উলিপুরের থেতরাই ইউনিয়ন সংলগ্ন তিস্ত নদীতে পতিত হয়। পরবর্তীতে তিস্তা নদীর অব্যাহত ভাঙ্গনে ওই বিলটি নাজিমখান ইউনিয়নের সোমনারায়ন মৌজার হাসার পাড় দিয়ে তিস্তা নদীতে পতিত হচ্ছে।
গত বছর অপরিকল্পিত ভাবে বরেদ্র বহুমুখী প্রকল্প এই হাসার পাড় নালাটি খনন করে এবং তিস্তা নদীর পানির সাথে হাসার পাড় বিলের মধ্যে একটি স্ুইস গেট করার কথা ছিল।
কিন্তু তা করা হয়নি। বর্তমানে তিস্তা নদীর পানি হাসার পাড় নালায় ঢুকিয়ে বাড়িঘর, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, রাস্তা ভাঙ্গনের শিকার হয়েছে। ভাঙ্গনে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার ও পরিকল্পিতভাবে নালাটি সাথে তিস্তা নদীর সংযোগ রক্ষা করার জন্য ওই অঞ্চলের হাজারো মানুষ প্রতিবাদ ও সমাবেশ করেছে।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক সিফাত মেহনাজ জানান, বিষয়টি কিভাবে সুরাহা করার যায় এ জন্য রাজারহাট উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।

এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন