তেঁতুলিয়ায় নিয়মিত অফিসে আসেন না খাদিজা আক্তার, হাজিরা বেতন ষোল আনা
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2023/08/দেবনগড়-ই.ভূমি-অফিস-পিক.jpg)
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2025/02/475351977_1256003665483861_2959209934144112011_n.jpg)
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে নিয়মিত অফিস না করেও প্রতিমাসের হাজিরা ষোল আনা দেখিয়ে বেতনসহ অফিসের আনুষঙ্গিক সুবিধা ভোগ করছেন চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী খাদিজা আক্তার। গত মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) দেবনগড় ইউনিয়নের মাগুরমারী চৌরাস্তা বাজার সংলগ্ন দেবনগড় ইউনিয়ন পরিষদের পশ্চিম পার্শ্বে অবস্থিত ওই অফিসে সরেজমিনে গেলে এই চিত্র চোখে পড়ে।
উপজেলা ভূমি অফিস সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দেবনগড় ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা পদে আব্দুল গণি ও অফিস সহায়ক পদে হৃদয় চন্দ্র শীল ও খাদিজা আক্তার দায়িত্বরত রয়েছেন। অফিসে নিয়মিত দায়িত্ব পালনের কথা থাকলেও খাদিজা আক্তার তাঁর খেয়াল খুশি মতো অফিসে আসেন এবং অফিস ত্যাগ করেন সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানতে পারা যায়। গত মঙ্গলবার তিনি এই রকমই করিয়েছেন।
সরেজমিনে গিয়ে স্থানীয় ও ভূমি সংক্রান্ত কাজে সহযোগিতা নিতে আসা লোকজনদের কাছ থেকে জানা যায়, বেশির ভাগ খাদিজা আক্তারকে অফিসে দেখা যায়না। হৃদয় নামে অফিস সহায়ক ছেলেটিকেই তাঁরা সব সময় অফিসে দেখতে পায়। অনেকেই জানান, খাদিজা অল্প কথায় খিটখিটে মেজাজের হয়ে উঠে। ভয়ে তাকে কেউ কোন কিছু সহযোগিতার কথা বলতে সাহস পাচ্ছেনা। চাকরির বয়স দীর্ঘদিন হলেও খাদিজা আক্তার অফিসের কাজে ততটা অভিজ্ঞতা সম্পন্ন নয় বলেও জানা গেছে।
অফিস সহায়ক খাদিজা আক্তার জানান, ‘আমি আর. এম শাখায় একটি কাগজ দিতে এসেছি। গতকাল (২১ আগস্ট) অফিস থেকে বাড়ী ফেরার পথে তহশীলদার আমাকে এই কাগজটি আর এম শাখায় দিতে বলছেন। তাই আমি অফিসে যেতে পারিনি। রেভিনিউ মুন্সিখানা(আরএম) শাখায় একটি কাগজ দিতে সারাদিন সময় ফুরিয়ে দেয়া এবং অফিসে না আসার কথা জিজ্ঞাসায় তিনি কোনো সদুত্তর দিতে পারেননি।’
অফিস সহায়ক হৃদয় চন্দ্র শীল বলেন, ‘স্যার তাকে (খাদিজাকে) গতকাল (২১ আগস্ট) আর এম শাখায় একটি চিঠি দেয়ার জন্য বলছিলেন। সেই চিঠি পৌঁছে দিয়ে অফিসে আসার কথা, কেন আসেননি তা আমি বলতে পারিছিনা।’
ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা আব্দুল গণি বলেন, ‘আমি তাকে (খাদিজাকে) আরএম শাখায় কাগজটি পৌঁছে দিয়ে অফিসে আসতে বলেছি, তাকে বাসায় থাকতে বলিনি। খাদিজা আক্তার কোনো ছুটি নিয়েছেন কিনা জিজ্ঞাসায় তিনি বলেন, না কোনো ছুটি সে নেয়নি। তিনি আরও বলেন, শুধু আজকে নয় প্রায় তিনি এ ধরণের কাজ করে আসছে। এ বিষয়ে আমি ইতিপূর্বে ইউএনও মহোদয়কে অবগত করেছি। মহিলা মানুষ তাকে কিছু বলাও যাচ্ছেনা।
এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার(ভূমি) মাহবুবুল হাসান বলেন, ‘আমি নতুন যোগদান করেছি, আপনার কাছ থেকে বিষয়টি জানতে পারলাম। ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তার কাছ থেকে জেনে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
![](https://ournewsbd.net/wp-content/uploads/2024/12/469719549_122234398946008134_2936380767280646127_n.jpg)
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন