তেঁতুলিয়ায় চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীর জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন
আগামী ১১ নভেম্বর (বৃহস্পতিবার) দ্বিতীয় ধাপে পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের অনুষ্ঠেয় আসন্ন ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন উপজেলার সাত ইউনিয়নের ৫নং বুড়াবুড়ি ইউপিথর মোটরসাইকেল প্রতীকের স্বতন্ত্র পদপ্রার্থী স্বর্ণপদক প্রাপ্ত সরকারি ভাবে তিন দেশের ভ্রমনকারী সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামু জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে আবেদন করেছে। তিনি একাধিক বিষয়ের উপর নিরাপত্তা চেয়ে পঞ্চগড় জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, জেলা নির্বাচন অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা নির্বাচন অফিসার, তেঁতুলিয়া মডেল থানায় লিখিতভাবে আবেদন দায়ের করেন।
লিখিত আবেদন সূত্রে জানা যায়, উপজেলার দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনের তফসিল ঘোষনার পর থেকে প্রতিদ্ব›দ্বী চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী তারেক হোসেনসহ আরোও কতিপয় বিপক্ষ প্রতিদ্ব›দ্বী চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী যোগসাজশে ক্যাডার বাহিনীর মাধ্যমে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মেরে ফেলার হুমকি, গুম, তৃতীয় পক্ষ দ্বারা অথবা বিপক্ষ প্রার্থীরা স্বয়ই নিজেই মিথ্যা মামলা দিয়ে ফাঁসানোর হুমকি, নির্বাচনী প্রচারণা বাধা প্রদান, সরকারি রাস্তা অবরোধ, গাড়ি ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগসহ ওই ইউনিয়নের নারায়নগছ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আইবুল হক বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, বুড়াবুড়ি মন্ডলপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এই তিনটি ভোট কেন্দ্র দখলসহ নানান ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার হুমকি প্রদান করে আসছেন। তাঁরা যে কোন সময় যে কোন জায়গায় সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামুথর উপর হামলা ও প্রাণ নাশ করিতে পারে এমনি উল্লেখ করেছেন তিনি।
আবেদনে উল্লেখ করেন, জণগনকে সুষ্ঠভাবে ভোট দিতে নিশ্চিত করা, নিরাপত্তার সহিত যাতায়াত নিশ্চত করা, অতিরিক্ত সরকারি নিরাপত্তা বাহিনী দিয়ে নিদিষ্ট কেন্দ্রে ভোট গণনাসহ সুষ্ঠভাবে নিশ্চিত করার জন্য বিশেষভাবে প্রার্থনা কামনা করেছেন।
চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ কামরুজ্জামান কামু জানান, তফসিল ঘোষণার পর থেকে আবেদনে উল্লেখিত ব্যক্তিগণ প্রকাশ্যে কিংবা গোপনে বিভিন্ন হুমকি দিয়ে আসছেন। তারই ধারাবাহিকতয় তিনি গত ১৭ অক্টোবরের আগেই মনোনয়নপত্র দাখিলের পর ২১ অক্টোবর উপজেলা নির্বাচন অফিস কর্তৃক মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হলে, আবেদনে উল্লেখিত প্রতিদ্ব›দ্বী প্রার্থী তারেক হোসেন তাঁর প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণার জন্য ২৩ অক্টোবর জেলা নির্বাচন অফিসার ও আপিল কর্তৃপক্ষের নিকট অভিযোগ করেন। ২৫ অক্টোবর শুনানীর মাধ্যমে প্রার্থীতা অবৈধ ঘোষণা করেন আপিল কর্তৃপক্ষ পরে তিনি মহামান্য হাইকোর্টে আপিল করার পর মহামান্য হাইকোর্ট তাকে বৈধ ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, অনেক হয়রানির শিকার হয়ে প্রতীক বরাদ্দের সাত দিন পর ২ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দতা হাতে তুলে নেন এবং প্রচার-প্রচারণার কার্যক্রম শুরু করেন। তাঁর উপর জনগনের আস্থার প্রতিফলন আগামী ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ঘটবে ইনশাআল্লাহ জানিয়েছেন।
এই বিষয়ে তেঁতুলিয়া মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু ছায়েম মিয়ার বলেন, সাবেক চেয়ারম্যান কামরুজ্জামান কামুর লিখিত আবেদনটি পাওয়ার পরেই বিষয়টি সব মহলে আমলে নেওয়া হয়েছে। তবে তার কোন প্রকার ক্ষতি করা হলে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন