‘দালালদের সঙ্গে এবার হাত মেলাচ্ছে সরকারের লোকেরাও’
নবাব ও বস-২ ছবি নিয়ে বেশ কিছুদিন ধরেই জটিলতা তুঙ্গে। এমনকি ছবি দুটো নিয়ে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান জাজ মাল্টিমিডিয়ার সঙ্গে পাল্টাপাল্টি অবস্থানে চলচ্চিত্র পরিবার। জাজের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তারা যৌথ নীতিমালা লঙ্ঘন করে ছবি করেছে। নবাব ও বস-২ দুটো ছবিই যৌথ নীতিমালার আইন বহির্ভূত। বিষয়টি তথ্যমন্ত্রণালয়কেও জানানো হয়েছে বলে সংবাদ সম্মেলন করে জানিয়েছিলেন চলচ্চিত্র পরিবারের নেতারা।
তথ্য মন্ত্রণালয়ও ‘নবাব’ ও ‘বস-২’ সেন্সর হবে না বলে আশ্বস্ত করেছিলেন। কিন্তু মাত্র একদিনেই পাল্টে গেলো সব! কেনোনা, চলচ্চিত্র পরিবারকে ‘নবাব ও বস-২’ ছবি নিয়ে তাদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আশ্বাস দেয়ার এক দিনের মাথায় ছবি দুটোকে সেন্সর বোর্ডে প্রদর্শনীর আদেশ দেয়া হয়। আর তাতেই তথ্য মন্ত্রণালয় ও সেন্সর বোর্ডের প্রতি অনাস্থা প্রকাশ করেছেন বাংলা চলচ্চিত্র ঐক্যজোটের নেতারা।
আর সেজন্যই বুধবার সেন্সর বোর্ডের সামনে অবস্থান ধর্মঘট পালনে সেখানে দলেবলে ছুটে যায় চলচ্চিত্র পরিবার। যেকোনো মূল্যে নবাব ও বস-২ ছবির সেন্সর ঠেকানোই ছিলো তাদের লক্ষ্য। কিন্তু সেখানে গিয়ে খুব একটা আশাবাদী হতে পারেননি তারা। কারণ, এরইমধ্যে নাকি ঈদে নবাব ও বস-২ মুক্তির বিষয়টি বেশকিছুটা নিশ্চিত হয়ে গেছে বলেই গুঞ্জন শোনা যাচ্ছে। আর এমন অবস্থায় তথ্য মন্ত্রণালয় ও সেন্সর বোর্ডের প্রতি চলচ্চিত্র নেতাদের ক্ষোভ-ই উপচে পড়লো। বিশেষ করে, অভিনেতা ডিপজলতো সরাসরি বলেই ফেললেন যে, সেন্সর বোর্ডকে টাকা দিয়ে জাজ মাল্টিমিডিয়া নবাব ও বস-২ ছবির সেন্সর ছাড়পত্র নিয়ে যাচ্ছে!
ঠিক যেনো ডিপজলের এমন বক্তব্যকেই সমর্থন করলেন অভিনেতা ও শিল্পী সমিতির সহ-সভাপতি রিয়াজ। হয়তো নবাব ও বস-২ ছবির ভবিষ্যৎ টের পেয়ে তিনিও কিছুটা বিরক্ত তথ্য মন্ত্রণালয় ও সেন্সর বোর্ডের প্রতি। তাইতো তিনি ছবি দুটি(নবাব ও বস-২) আটকে দিতে সরাসরি সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করলেন। বললেন, সার্বভৌম বাংলাদেশের সরকারের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি, যেনো তিনি আমাদের চলচ্চিত্রকে বাঁচান। কারণ, বাংলা চলচ্চিত্রকে ধ্বংস করতে দালালদের সঙ্গে এখন হাত মেলাচ্ছে সরকারে থাকা লোকেরাও।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন