দায় স্বীকার : লাইসেন্সও ছিল না চালক মাসুম বিল্লাহর
রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কে দুই কলেজশিক্ষার্থীর মৃত্যু তার গাড়িচাপায় হয়েছে বলে দায় স্বীকার করেছেন জাবালে নূর বাসটির চালক মাসুম বিল্লাহ। এছাড়াও জাবালে নূর বাসটি চালানোর জন্য উপযুক্ত লাইসেন্সও ছিল না তার কাছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মাসুম বিল্লাহ হত্যার দায় স্বীকার করেছেন। তার ড্রাইভিং লাইসেন্স পর্যালোচনা করে দেখা যায় তার কাছে রয়েছে হালকা গাড়ি চালানোর লাইসেন্স। যা দিয়ে মোটরসাইকেল ও প্রাইভেটকার চালানো যায়। যা জাবালে নূর বাসটি চালানোর জন্য কোনোভাবেই উপযুক্ত না।
সাত দিনের রিমান্ডে চালক মাসুম বিল্লাহ
সেই বাসটির চালক মাসুম বিল্লাহকে সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। তার গাড়ির চাপাতেই ওই দুই শিক্ষার্থী নিহত হয়।
বুধবার তাকে ঢাকা মহানগর হাকিম আদালতে হাজির করে মামলার সুষ্ঠু তদন্তের জন্য সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন গোয়েন্দা পুলিশ পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। শুনানি শেষে ঢাকা মহানগর হাকিম এইচ এম তোয়াহা এ রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
গত রোববার দুপুরে রাজধানীর বিমানবন্দর সড়কের কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের সামনে এমইএস বাসস্ট্যান্ডে জাবালে নূর পরিবহনের বাসচাপায় দুই শিক্ষার্থী নিহত হন। একই ঘটনায় আহত হন আরও ১০/১৫ শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনার দিন থেকেই রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক অবরোধ করে আন্দোলন করে আসছেন স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীরা।
নিহত দু্ই শিক্ষার্থী হলেন- শহীদ রমিজউদ্দিন ক্যান্টনমেন্ট কলেজের একাদশ শ্রেণির ছাত্রী দিয়া খানম মিম ও বিজ্ঞান বিভাগের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র আব্দুল করিম রাজিব।
ওই ঘটনায় জাবালে নূরের তিন গাড়ির দুই চালক ও দুই হেলপারকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১। তার আগে ওই ঘটনায় নিহত দিয়া খানম মিমের বাবা জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে ক্যান্টনমেন্ট থানায় মামলা করেন। এ মামলা নং ৩৩(৭)১৮।
মামলা ডিবিতে হস্তান্তর
মামলাটি ক্যান্টনমেন্ট থানা থেকে তদন্তের জন্য গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) কাছে হন্তান্তর করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক কাজী শরিফুল ইসলাম। আদালত সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
এই রকম সংবাদ আরো পেতে হলে এই লেখার উপরে ক্লিক করে আমাদের ফেসবুক ফ্যান পেইজে লাইক দিয়ে সংযুক্ত থাকুন। সংবাদটি সম্পর্কে মন্তব্য করতে হলে এই পেইজের নীচে মন্তব্য করার জন্য ঘর পাবেন